বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুইদল জেলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৬

বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুইদল জেলের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত জেলেরা হচ্ছেন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ কাওছার, মোঃ আসাদ, নাজমুল ও মাসুম। এদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে।

আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত প্রতিপক্ষের জেলে বেল্লাল পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সুন্দরবনের কটকার বাইর সাগরে ফুসফুসের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শরনখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি জেলেদের মহাজন উত্তর রাজাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তার জেলেরা সকালে বঙ্গোপসাগরের ফুসফুসের চর এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরছিল। এসময় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মাসুইস গ্রামের হালিম খানের পুত্র রফিকুল ২০/২৫ জন জেলেসহ তিনটি ট্রলারে করে এসে আমার জেলেদের উপর হামলা চালিয়ে মাছ ধরতে বাঁধা দেয়।

তাদের বাঁধা উপেক্ষা করলে ওই জেলেরা আমার জেলেদের মারপিট শুরু করে। এতে আমার পাঁচ জেলে আহত হয়। মারপিটের খবর পেয়ে সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলিছুড়ে হামলাকারি জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহত জেলেদের বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপরে পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মাসুইস এলাকার জেলেদের মহাজন রফিকুল দাবী করেন সুজন ও রহিম মাঝির জেলেরা ৩/৪টি ট্রলারে এসে তার জেলেদের উপর হামলা করে। এতে বেল্লাল নামের এক জেলের হাত ভেঙ্গে যায়। তাকে

পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষের ট্ররারের আঘাতে তার একটি ট্রলার ডুবে যায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাছধরা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে দুই দল জেলেদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা শুনে বনরক্ষিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।