বাংলাদেশের ধনিয়া যাচ্ছে মহাকাশে

বাংলাদেশের জন্যে অত্যন্ত সুখবর নিয়ে এসেছে ধনিয়া বীজ। ইতিহাসে এই প্রথম দেশের ধনিয়া বীজ যাচ্ছে মহাকাশে। সেখানে গবেষণায় এই বীজ ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ থেকে এই ধনিয়া বীজ চলতি অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাপান হয়ে স্পেস কার্গো বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-এমআইটির কানেকশন সায়েন্সের প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এই খবরটি আমি পাই গত বুধবার রাত ২টার সময়। আমি তখন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান-নাসা এবং জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি-জেক্সার সাথে একটি মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলাম। এটি বাংলাদেশের জন্যে খুব বড় একটি খবর।

মিজানুল চৌধুরী জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসের কোনো এক দিন আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের রকেটে চড়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বা আইএসএস-এর উদ্দেশ্যে রওনা হবে এই বীজ। তবে সঠিক দিনক্ষণ-সময় এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। কেননা অন্যান্য সময়সূচির ওপর এই বিষয়টি নির্ভর করছে।

জানা গেছে, এই বীজের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন নভোচারীরা।

বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ধনিয়া বীজ যাচ্ছে মহাকাশে। থাকছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করা বীজও।

মিজানুল চৌধুরী বলেন, ২০২১ সালের জুন মাসে এই ধনিয়া বীজগুলোকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। তারপর জুলাই মাসে বাংলাদেশের বীজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। এরপর বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানীরা এই ধনিয়া বীজের ওপর পরবর্তী পরীক্ষা করবেন।

পরে পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনকে তারা জানাবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবেই আন্তর্জাতিক মানের একটি দীর্ঘ গবেষণার অংশ হয়ে উঠলো বাংলাদেশ। দেশের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারে যা সুদূরপ্রসারী ফল এনে দিতে পারে বলে তাদের মত। এদিকে, বাংলাদেশের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মাধ্যমে ধনিয়া বীজগুলো সংগ্রহ করে মহাকাশে গবেষণার জন্যে পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন