বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান উদ্বেগজনক: ন্যাপ

বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে বান্দরবানে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে শেল ও গুলি করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া। তারা বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমায়ের যুদ্ধবিমান প্রবেশ উদ্বেগজনক ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এটা দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যও হুমকি। এসব ঘটনা শুধু বাংলাদেশ বা মিয়ানমারের জন্যই নয়, একই সঙ্গে তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও ক্ষতিকর।

২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অনেকবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার। ওই সময় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তারপরও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে মিয়ানমার অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখারও পরিপন্থী। এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

তারা অবিলম্বে মিয়ানমারকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অংকিউ মোয়েকে তলব করে সতর্ক করার পরেও শনিবার সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর কাছাকাছি মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান দেখা যায়। হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।

নেতারা আরও বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভুলের নামে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করতে পারে না মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবশ্যই মিয়ানমারের শ্রদ্ধা থাকতে হবে। অব্যাহতভাবে তাদের ওইরকম মনোভাব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অস্থিতিশীল করে তুলবে পুরো অঞ্চল। মিয়ানমারকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে, বাংলাদেশও সামরিক দিক দিয়ে সক্ষম একটি দেশ।