বিনা প্রশ্নে কালো টাকা পুঁজিবাজারে চায় সিএসই

কালো টাকা বিনা প্রশ্নে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুবিধা চেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। রোববার মতিঝিলে সিএসই কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হয়েছে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের অন্যান্য প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করলে বিনিয়োগকারীরা আরও উপকৃত হতেন।’

গোলাম ফারুক বলেন, ‘বাজেটে রুগ্ন কোম্পানিকে ভাল কোম্পানিতে একত্রীকরণ অথবা অধিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এটি পুঁজিবাজারের জন্য একটি ভাল প্রস্তাব।’

ঘোষিত বাজেটে নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে বোনাস লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। রিটেইনড আর্নিংস বা রিজার্ভ যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তবে বাড়তি রিজার্ভের ওপর ১৫ শতাংশ করের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করবে বলে আশা করছে সিএসই।

গোলাম ফারুক বলেন, ‘বাজেটে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য লভ্যাংশ আয়ের দ্বৈত কর তুলে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাজারে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় নির্দিষ্ট করে প্রদান সাপেক্ষে বৈধকরণের বিধান রাখা হয়েছে, যা ফ্ল্যাট, জমি কেনা এবং ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করা যাবে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়নি। পাচাররোধ করা ও বিনিয়োগের স্বার্থে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা প্রশ্নে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দেয়া সাপেক্ষে পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাজেটে করজালের আওতা বৃদ্ধি, হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ পথে প্রবাসী আয় প্রেরণে প্রণোদনা এবং চার স্তর বিশিষ্ট নতুন মুল্যসংযোজন কর বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের কথা উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়া হয়েছে, যা বাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যে ৮টি প্রস্তাবনা দিয়েছে তা পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব করেন।