বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংকীর্ণতাকে কটাক্ষ করে জবিতে প্রতীকি দানবাক্স

গত বছরের তুলনায় এবছর বাজেট বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আগের বছরের চেয়ে ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কোন রকমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে টাকা কমে গেল বা পাচার হয়ে গেল কিনা তা কটাক্ষ করতে ১৭ই অক্টোবর রোজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে প্রতীকি দানবক্স স্থাপন করেছে শিক্ষার্থীরা। দানবক্সের গায়ে লেখা “দরিদ্র জবির খরচ বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে প্রাণবন্ত করতে জবি প্রশাসনকে মুক্ত হস্তে দান করুন”।

২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নীত করা হয়। শুরু থেকে ২০ই অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়ে আসছে । এই দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছে আবেগের। করোনা মহামারীর আগে ধুমধামের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

করোনা মহামারীর দোহাই দিয়ে গত দুই বছর স্বল্প পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আশাছিল এবছর মহাসমারোহে আয়োজিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। তবে এবছরো একই পথে হাটছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিগত বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা আয়োজক কমিটির।

আগে যেখানে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস আলোকসজ্জা করা হতো এবার শুধুমাত্র প্রশাসনিক ভবন, স্মৃতিসৌধ ও দুটি প্রধান ফটকে আলোকসজ্জা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মবার্ষিকী ঘিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে সাদা-মাটা। নিজস্ব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণেই হবে পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আবাসিক হলের অনুষ্ঠান কিংবা কোন নির্দিষ্ট বিভাগের এলামনাইয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বা ব্যন্ডদলদের মঞ্চ মাতাতে দেখা যায় সেখানে রাজধানী ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে থাকবেনা সেরকম কোন আকর্ষণ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ছিল ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরের ১৪৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বাজেট পাস হয়। এবছর বাজেটে ২০ কোটি টাকা বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অর্থ ব্যয় কমানোয় প্রশাসনের সংকীর্ণতা প্রকাশ পেয়েছে। জানা যায়, আয়োজন কমিটির এসব সিদ্ধান্তে ক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকি দানবক্স স্থাপন করেছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।