নরসিংদীর রায়পুরা মরজাল এলাকায় লোডশেডিয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে মানুষ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকায় মানা হচ্ছে না এলাকা ভিত্তিক বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

দিনে কয়েক দফায় ৮ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। টানা বিদ্যুৎ সংকট আর তীব্র গরমে চরম ভোগান্তির মধ্যে বিদ্যুত গ্রাহকসহ শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে মরজাল বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মাজহারল আলম, চঃ দাঃ সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রদ্রকে মোবাইল ফোনে বলেন, মরজাল পল্লী বিদ্যুৎ ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। অথচ এই এলাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

সেক্ষত্রে আমরা পাচ্ছি মাত্র ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে আমরা ২ প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিচ্ছি ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যার ফলে এই মরজাল ইউনিয়নে বিদ্যুৎ এর ভোগান্তি চরম পর্যায়ে। এক পর্যায়ে একদিকে প্রায় ১২ হাজার গ্রাহকদের ভোগান্তি এবং অন্যদিকে ২ প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে মোবাইল ফোন কেঁটে দেয়।

মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার মসজিদের শিক্ষক বলেন, এলাকা ভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টার কথা বলা হলেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। গত শনিবার থেকে দিনে ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়েছে।

মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার সমতা বাজারের ব্যবসায়ী হারন মিয়া সংবাদকর্মীদেরকে বলেন, যে হারে লোড শেডিং হচ্ছে আমরা লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়েও সারাদিনে ২ শত টাকার কাজ করতে পারছি না। অথচ অন্যদিকে মরজালে ২ প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘন্টা দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ। এমন আগ্রাসী মনোভাব ইতিপূর্বে কোন ডিজিএম দেখায়নি।

এদিকে নরসিংদী জেলার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ইউসুফ সংবাদকর্মী রদ্রকে বলেন, সারা দেশের মত আমরাও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আগের তুলনায় বর্তমানে জেলায় লোডশেডিং কমে গেছে।

যেহেতু আপনি মরজালের সমস্যার কথা জানিয়েছেন সেহেতু আমি অতি দ্রত মরজাল এলাকার ডিজিএম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ঐ এলাকার সমস্যা দূর করার চেষ্টা করব।