বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ট্রেনিং একাডেমি গঠন করবে ইউজিসি

উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখতে শিক্ষকের গুণগত মান বৃদ্ধির গুরুত্বারোপ করেছেন শিক্ষাবিদরা। এজন্য বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য টিচার্চ ট্রেনিং একাডেমি গঠনের কথা জানিয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এক দিকে যেমন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন পৌনঃপুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত উৎকর্ষ বৃদ্ধি। তা না হলে মানসম্মত শিক্ষক তৈরি হবে না। এ জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদানে স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম গড়ার ওপর জোর দেন তারা।

ফাউন্ডেশন ফর লার্নিং, টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ (এফএলটিআর) উদ্যোগে ‘সার্টিফিকেট ইন ই-লার্নিং অ্যান্ড টিচিং-সিইএলটি কোর্সের সনদ বিতরণ উপলক্ষে শুক্রবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এই কোর্সে পাবলিক ও প্রাইভেট পর্যায়ের মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর প্রধান অতিথি ও উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, আইইউবিএটির ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুর রব বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা থাকুক বা থাকুক, বেøন্ডেড লার্নি থাকবে। এর প্রয়োজনীয়তা কখনই শেষ হবে না। তিনি বলেন, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ সব সময়ই অপরিহার্য ছিল। অথচ গত কয়েক দশক ধরেও ওই অর্থে এই ব্যবস্থা চালু হয়নি। অধ্যাপক ড. আলমগীর বলেন, বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটি টিচার্চ ট্রেনিং একাডেমি গঠন নিয়ে কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করা যায়, এর মাধ্যমেই বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের ব্যপারে ইতিবাচক কিছু হবে। এ সময় টিচার্চ ট্রেনিং একাডেমির পাশাপাশি ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল ও সেন্ট্রাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি গঠনে উদ্যোগের কথাও জানান।

অনলাইন শিক্ষার অতীত ও বর্তমানসহ নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। এ সময় অনলাইন শিক্ষার জন্য স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম গড়ার ওপর জোর দেন তিনি।

অধ্যাপক ড. মো: গোলাম সামদানী ফকির বলেন, শিক্ষার ধারণা সার্বজনীন। এর গন্ডি নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তেমনি এর স্বরূপও অফলাইন-অনলাইন বিবেচ্য নয়। অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। তবেই শিক্ষায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।