বিয়ের কপালটা আমার খারাপ: প্রসেনজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার সবচেয়ে পরিচিত মুখ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সংসার ভাঙার দায়ও নিলেন নিজের কাঁধে। তিন দশক ধরে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের সামনে থাকা বুম্বাদার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা কম হয় না। নানাভাবে সামনে আসে সেসব প্রসঙ্গ। এবার তাই অভিনেতা নিজেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন।

জি২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘বিয়ের কপালটা আমার খারাপ। প্রত্যেক জায়গায় আমি একটিই কথা বলি— যেটাই হয়েছে সেটি আমার দোষ, আমি তাকে বুঝতে পারিনি।’

ভালোবাসে পরস্পরকে বিয়ে করেছিলেন তারা। ছোটবেলার বন্ধুত্ব, যৌবনে পা দিয়েই দাম্পত্যে জড়ান। সালটা ১৯৯২। তবে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি এই সম্পর্ক। তিন বছর পরেই ভেঙে যায় প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর বিয়ে।

অভিনেতা জানান, দেবশ্রীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। দুই বছর বাড়ির বাইরে বার হননি।

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘জীবনে প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসার একটা আলাদা জায়গা থাকে। আরেকটা ফ্যাক্টর ছিল আমার বয়সটা। আমি যে সময় বিয়ে করেছিলাম, যদি আরও পাঁচ বছর পর বিয়ে করতাম, হয়তো বিষয়টি আমরা দুজনেই অনেকটা ম্যাচিউরডভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতাম। তবে আমি কোনো জায়গায় কাউকে দোষ দিইনি। বলেছি সবটা আমার দোষ।’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘সবাই জানত আমাদের প্রেম, আমাদের ভালোবাসার কথা। আমি ভয় পেতাম। লোকে ভাববে আমার ভালোবাসাটা বোধহয় জেনুইন ছিল না। হয়তো আমার ভালোবাসাটা ভুল ছিল, আমি ভালোবাসতে পারিনি।

‘সেই ভাবনাটা থেকে ভেতরে ভেতরে কষ্ট পেতাম। লজ্জা, ভয়, অভিমান মিশিয়ে আমি কারুর সামনে যেতে পারিনি। সেই সময় অনেক পরিচালক, কাছের বন্ধুরা আমার বাড়িতে এসে বলেছেন— এটা জীবন নয়। এর পর ধীরে ধীরে গৃহবন্দি দশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াই।’

প্রথম বিয়ে ভাঙার পর অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা, তাদের মেয়ে প্রেরণা। সেই সম্পর্কেও প্রসেনজিৎ ইতি টানেন ২০০২ সালে। এখন অর্পিতাকে নিয়ে ঘর করছেন। তাদের একমাত্র ছেলে তৃষাণজিৎ।