বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ

ব্যাটিংয়ে ঠিকঠাকভাবে কাজটা করতে পারেননি তামিম-সাকিবরা। ফলে লড়াইয়ের পুঁজি পাননি বোলাররা। তার ওপর আবার বৃষ্টিবাধা। এতে ফলাফল যা হওয়ার কথা তাই হলো। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরে গেল বাংলাদেশ। এ জয়ে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথমে ব্যাট করে ১৪৩ রান করে বাংলাদেশ।জবাবে শিডউল অনুযায়ী খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল।তবে বৃষ্টি বাগড়ায় তা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি থামলে খেলা শুরু হয় প্রায় আধা ঘণ্টা পর। এতে ইনিংসের পরিধি কমে আসে ১১ ওভারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯১ রান।তবে শুরুতেই ঝাটকা খায় ক্যারিবীয়রা। তোপ দাগান মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন লুইস (২) ও ফ্লেচারকে (৭)।

শুরুতেই দুই ওপেনার ফিরলেও চোখ রাঙাতে থাকেন স্যামুয়েলস।দ্রুতগতিতে রান তোলেন তিনি। একের পর এক বাউন্ডারিতে টাইগার বোলারদের কাঁপিয়ে ছাড়েন এ হার্ডহিটার। দলীয় ৫২ রানে মাহমুদউল্লার তালুবন্দি করে তাকে ফেরান রুবেল। ততক্ষণে ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন স্যামুয়েলস।

বাকি কাজটুকু সারেন রাসেল ও রোভম্যান।বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা করে ১১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। রাসেল খেলেন ২১ বলে সমান ৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ রানের হার না মানা বিধ্বংসী ইনিংস। ৯ বলে ২ ছক্কায় ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রোভম্যান।

বুধবার সেন্ট কিটসে টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লস ব্র্যাথওয়েট। তবে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের।ইনিংসের প্রথম বলেই নার্সের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম (০)। ফের ব্যর্থ সৌম্য (০)।কোনো রান না করেই নার্সের স্পিন ভেলকিতে কুপোকাত হয়ে ফেরেন তিনি।

এরপর সাকিবকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লিটন।এতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ।তাদের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছিল সফরকারীরা।তবে হঠাৎই ছন্দপতন। ষষ্ঠ ওভারে পলের লোভনীয় শর্ট বলে লোভ সামলাতে না পেরে ফেরেন লিটন (২৪) ও সাকিব (১৯)।ফের চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সেই চাপের মধ্যে লড়েন মাহমুদউল্লাহ। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন মুশফিক। এতে বাড়ে রানের গতি। বাংলাদেশও এগোচ্ছিল ঝড়ো গতিতে। তবে হঠাৎই হার মানেন মুশফিক (১৫)।কেসরিকের শর্ট বলে লালসা মেটাতে গিয়ে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

কিছুক্ষণ পরই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন আরিফুল (১৫)। রাসেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।তবু বুক চিতিয়ে লড়ে লড়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১২৫ রানে কেসরিকের অসাধারণ ডেলিভারিতে লড়াই থামে তার। ফেরার আগে ২৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন মিস্টার কুল।

শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।রুবেল ২ ও মোস্তাফিজ ৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এর আগে মিরাজ (১১) ও নাজমুল (৭) কেসরিকের শিকার হন। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার কেসরিকই। প্রথমে নার্স (২ উইকেট) জাদু দেখালেও ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে আসল ছোবলটা দেন তিনিই।