বেসরকারী হাসপাতালগুলোর অনিয়ম নিয়ন্ত্রন করুন : সরকারকে ন্যাপ

রোগ যাই হোক, রোগীমাত্রই দুর্দশাগ্রস্থ মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে বিত্তহীন মানুষ যতটুকুই চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে বেসরকারী হাসপাতালগুলো চিকিৎসার নামে মূলত চিকিৎসার নামে জনগনের পকেট কাটছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বেসরকারী হাসপাতালের দৌরাত্ব ও অনিয়ম বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রহনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, সম্প্রতি ইমপালসের সাধারণ বেডে একজন রোগির চিৎিসার জন্য ৬ দিনের বিল ২ লাখ ৬২ হাজার কিসে ইঙ্গিত বহন করে। তারা কি চিৎিসা করাচ্ছেন নাকি রোগিদের জিম্মি করে লুট করছেন এই প্রশ্ন জনমনে সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের হাসপাতালগুলো মুলম চিকিৎসার নামে জনগনের পকেট কাটার দায়িত্বটাই সঠিকভাবে পালন করেন। আবার এদের মালিকরা টিভিতে নীতিবাক্য বলতে বলতে গলা শুকিয়ে ফেলেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বেসরকারি অনেক হাসপাতালেই মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও নেই তাদের।

নেতৃদ্বয় বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোভিড চিকিৎসা দিলে তারা তাদের মতো করেই বিল করবে। সেই বিল চিকিৎসাপ্রার্থীকে মেটাতেও বাধ্য করা হয়। বিল না মিটিয়ে কেউ হাসপাতাল ত্যাগও করতে পারে না। আবার অস্বাভাবিক বিল করলে তা চ্যালেঞ্জ করারও কোন উপায় থাকে না। পলে জনগন প্রতিনিয়ত এদের দ্বারা শোষনের শিকার হচ্ছে। এরকম বহু অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও ঐ সকল অভিযুক্ত হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জনগন জানে না। তেজগাঁওয়ের সরকার-নির্ধারিত বেসরকারি করোনা ডেডিকেটেড ইমপালস হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়েও সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলে যানা জায় নাই।

তারা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত বেসরকারি অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্দয়ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে মূমুর্ষ রোগীদের অর্থ কড়ি। ভূয়া ল্যাব টেস্ট, রিপোর্ট ও ভুল চিকিৎসা দিয়ে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর মুখে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ বরাবরই অবহেলিত, প্রতারিত হয়ে আসছে। করোনা মহামারিতে চিকিৎসা সেবা হাতছাড়া হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের। করোনাকালে দেশের গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থা পড়েছে মুখ থুবড়ে। জমজমাট হয়ে উঠেছে অসৎ চিকিৎসা বাণিজ্য। মোক্ষম এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করছে হাসপাতাল মালিকরা। ঠগবাজি, প্রতারণা কত প্রকার ও কি কি তার প্রমাণ রেখে চলেছে চিকিৎসা সেবার সাথে সম্পর্কিতরা।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে, বাংলাদেশের বিরাজমান বাস্তবতায় চিকিৎসা ব্যয়ের ব্যাপারে একটা হার নির্ধারণ করে দেওয়া খুবই প্রয়োজন। রোগীদের ভোগান্তির বন্ধে যথাযথ কার্যকর আইন প্রনয়ন ও আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে হাইকোর্টের একজন বিচারপতি ও দেশের স্বনামধন্য চিৎিসকদের সমন্বয়ে কমিশিন গঠন করেন বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ করার ব্যবস্থা গ্রহনের কোনো বিকল্প নেই।