বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে বাংলাদেশেও ঈদ পালনের আহ্বান

পৃথিবীর আকাশে বুধবার (১২ মে) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। সে অনুযায়ী কালই ঈদুল ফিতর। এমন দাবি করেছে চাঁদ পর্যবেক্ষণ করা ওয়েবসাইট মুন সাইটিং ডটকম। এ বছর থেকে ওয়েবসাইটটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরবি মাস গণনা করছে সৌদি আরবও। সে অনুযায়ী দেশটিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। শুধু তাই নয়, এই পদ্ধতি মেনে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৭৩টি দেশের মুসলিমরা বৃহস্পতিবারই ঈদ পালন করবে। জোতির্বিজ্ঞানিরা তাই বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে একই তারিখে এবারের ঈদুল ফিতর পালনের আহবান জানিয়েছেন।

নাসা থেকে তথ্য নিয়ে চাঁদের অবস্থান জানানো ওয়েবসাইট মুন সাইটিং ডটকম বলছে, পৃথিবীর আকাশে ১৪৪২ হিজরীর শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যাবে ১২ মে অর্থাৎ আজ বুধবার সন্ধ্যায়। বাংলাদেশের পশ্চিমে অবস্থিত প্রায় সব দেশ থেকে নতুন চাঁদ দেখা যাবে খালি চোখেই। আর এ অঞ্চল অর্থাৎ বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তান ও পূর্বের দেশগুলো থেকে নতুন চাঁদ দেখা যাবে টেলিস্কোপের মাধ্যমে।

কোরআন গবেষক কাজী মো. রেজাউর রহমান বলেন, বাইনোকুলার দিয়ে দেখা যাবে পুরো আফ্রিকা ও মিডিলইস্টে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান যেহেতু দূরে, এ কারণে আমাদের টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখতে হবে। কোথাও চাঁদ দেখা গেলে অবশ্যই শাওয়াল মাস শুরু হবে। আর শাওয়াল মাসের প্রথম দিন অবশ্যই রোজা রাখা হারাম।

জ্যোতির্বিজ্ঞানিরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে তাই বাংলাদেশের চাঁদ দেখা কমিটির উচিত খালি চোখের পাশাপাশি টেলিস্কোপের মাধ্যমেও চাঁদ খোঁজা।

পরমাণু বিজ্ঞানী ও ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক ড. শমশের আলী বলেন, পৃথিবী একটি, মানবজাতি একটা, একটাই উপগ্রহ সুতরাং চাঁদ তো একেক দেশের একেকটা হতে পারে না। সুতরাং যখনই চাঁদ দেখা গেল তখনই এটা শুরু করতে হবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিজ দেশের আকাশে নয়, বিশ্বের যে কোনো জায়গায় চাঁদ দেখার খবর শোনা গেলেই আরবি মাস শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া বৈজ্ঞানিক উপায়ে নামাজ পড়তে পারলে, রোজা বা ঈদ পালন করতে বাধা কোথায়?