ব্যাংক থেকেই কোটি কোটি টাকা সরিয়ে নিত ওরা

ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের তথ্য চুরির পর তাদের সই জাল করে প্রতারক চক্র সরিয়ে নিত কোটি কোটি টাকা। এমনকি পুলিশের অভিযানের আগ মুহূর্তেও আরও ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল চক্রের সদস্যরা।

তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা। যার যোগসাজশেই টাকা সরাতো প্রতারকরা। ডাচ বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন (৩৫), ইয়াসিন আলী (৩৪), মাহবুব ইশতিয়াক ভূঁইয়া (৩৫), আনিছুর রহমান সোহান (৪২), মো. দুলাল হোসাইন (৩৫), মো. আসলাম (৫৩), আব্দুর রাজ্জাক (৪৮), জাকির হোসেন (৪৪), মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (৫৬) ও মো. নজরুল ইসলাম (৫০)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায় পুলিশ।

গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, দেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা ট্রান্সফারের আরটিজিএস ফর্ম জমা হয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি শাখায়। স্বাক্ষর দেখে সন্দেহ হওয়ায় ব্যাংক থেকে ফোন দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। কিন্তু তারা জানায়, এমন কোনো লেনদেন তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে করা হয়নি। তখন ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখা যায় স্বাক্ষরটি ছিল জাল।

ওই প্রতিষ্ঠানের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে ভাটারা থানা পুলিশ। বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। ডাচ বাংলা ব্যাংকেরই এ কর্মকর্তার যোগাসাজশে করা হয় এ প্রতারণা। গ্রেফতার করা হয় চক্রের ১০ সদস্যকে।

মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ব্যাংকের গ্রাহকদের তথ্য চুরি করে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হতো কোটি কোটি টাকা। অভিযানের ঠিক আগ মুহূর্তেও চলছিল আরেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২ কোটি টাকা সরানোর চেষ্টা।

তিনি বলেন, ব্যাংকের যে সদস্যটি তাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা যেটা করেছেন আরটিজিএসি একটি ফান্ড ট্রান্সফারে একটা প্রসেস। এ প্রসেস তারা তৈরি করেছি একটি গ্রুপের নামে। সেখানে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার মতো ট্রান্সফার টাকা করতে যাচ্ছিল।

এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে ব্যাংকগুলোকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।