ভাইয়ের মাধ্যমে বিএনপির সন্ত্রাসী নিয়ে পায়রা বন্দরের কাজ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শেখ হাসিনার স্বপ্নের পায়রা বন্দরে কর্মস্থান পাচ্ছেন না ভুমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। তবে জামায়াত বিএনপি ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে সখ্যতা তৈরি করে বন্দরে ঠিকাদারী কাজ করে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল) নাসির উদ্দিনের আপন ভাই। আর এবিষয়ে জানতে চাইলেই চাঁদা চাওয়ার মতো মিথ্যা অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে দিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করাচ্ছেন প্রকৌশলী নাসির।

শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২ টায় এমন সব অভিযোগ তুলে ধরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ভুমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অগ্রাধিকার না দিয়ে আপন ভাইয়ের মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে কাজ করছেন প্রকৌশলী নাসির। তার আপন বড় ভাই পরিচালিত ওয়াটার বার্ডস লিমিটেড এবং এবি কোম্পানির এমডি মোঃ জাহিদ হোসেন, পরিচালক হাসান মাহমুদ সম্প্রতি আমাদের স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে একান্তে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সম্মুখে পরবর্তীতে পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী বেকার যুবকদের কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাদের এই আশ্বাসের ভিত্তিতে স্থানীয় ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা কর্মীরা বিশেষ করে পায়রা বন্দর নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে পৈত্রিক বসতবাড়ি কৃষি জমি সবিই হারিয়ে বর্তমানে বেকার ঘুরছেন তারা কাজের সন্ধানে যান। কিন্তু জনাব নাসির উদ্দিনের আপন বড় ভাই হাসান মাহমুদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অশ্লীল ও খারাপ আচরণ করে তাদের তাড়িয়ে দেন।

তারা তাদের মারমুখি আচরণকে ধামাচাপা দিতে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আমাদের দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নামে অসত্য চাঁদাবাজির অভিযোগ দেয় এবং সংবাদ পরিবেশন করায়। তাই প্রধান মন্ত্রীর কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার চেয়ে তার আশু হস্তক্ষেপ চাইছেন আওয়ামীলীগ নেতারা।

সম্মেলনকালে একাধিক প্রবীন—ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা, পৌর মেয়র সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।