ভোলায় বোরোধানের বাম্পার ফলন হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে চাষিরা

ভোলার উপজেলা চরফ্যাসনের ২১টি ইউনিয়নে বোরোধানের বাম্পার ফলন হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে চাষিরা। সবুজ বিস্তৃর্ণ ক্ষেত জুড়ে সোনালী ধানের সমারোহ। আর কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পাড় করছে । বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান কাটা শুরু করলেও কৃষকরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে এ ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে সঙ্কায় রয়েছেন এসব কৃষকরা।

‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ভালো ধান পেয়েছে লকডাউন কিংবা করোনা পরিস্থিতিতে ধানের সঠিক দাম পাবে কি না তা নিয়েই চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা।’ একাধিক কৃষক জানান, এবছর প্রতি হেক্টর জমিতে ৪ থেকে ৫টন করে ধান হবে বলে আশা করছেন তারা।

হালিমাবাদ গ্রামের চাষি আকতার বলেন, কৃষি অফিসের মাধ্যমে হাইব্রীড বীজ হীরা-৬ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। গতবার বৃষ্টির তান্ডবে আমন ধানে ক্ষতি হলেও এবারের বোরো ধানে লোকসান পুষিয়ে যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ অঞ্চলের কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল বিনা-১০, ব্রি-২৮, ব্রি-২৬, ব্রি-৪৭ ও ব্রি-৭৪ জাতের ধান আবাদের পাশাপাশি হাইব্রীড ধানের বীজ আবাদ করেন বলে চরফ্যাসন কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।

উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের হাসানগঞ্জ গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন বলেন, ‘করোনায় আমাদের গ্রামের সকল চাষিই আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ আমরা ক্ষেতে ধানসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করলেও জেলা সদরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তগুলোতে আমদানি রপ্তানী বন্ধ থাকায় বেচা কেনা কম আমরাও পরিবার নিয়ে খুব সংকটে আছি।

চরফ্যাসন বাজারের ধানের পাইকারি আড়ৎদার পরেশ সাহা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন তাদের ব্যবসা বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে ধান কাটা শেষ হলে আবার গ্রামাঞ্চল থেকে ন্যয্য মূল্যে ধান ক্রয় স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন বলেন, বোরো মৌসুমে আমাদের ২৭ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় ৯হাজার হেক্টর বেশি। এছাড়াও ৯হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান পারটেক্স-১ ও হীরা-৬ চাষ করেছে কৃষকরা। এবছর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে বীজ সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে ৭১ টন হাইব্রীড বীজ বিতরণ করা হয়েছে। যার ফলন প্রতি হেক্টরে ৭ থেকে ৮মন।