ভোলায় স্কুল ও কলেজ বয়সী কিশোররা নতুন করে নেশা আসক্ত

ভোলায় কাশির ওষুধ সেবনের নামে স্কুল ও কলেজ বয়সী কিশোররা নতুন করে নেশা আসক্ত হয়ে ওঠছে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে পাড়া মহল্লায় সন্ধ্যার পর কিশোর বয়সীরা রাস্তার পাশে মোবাইল ফোন সেট নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। আর এ সময়ে সেডেটিং এন্টি হিস্টামিন জাতীয় বিভিন্ন কোম্পানীর কাশি ও কফ সিরাপ কিনে এনে জোটবদ্ধ হয়ে তা সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। রাতে ওই সব সিরাপ খাওয়ার কারনে এই সব শিশুরা সকালে ঘুম থেকে ওঠতে পারছে না।

ভোলার সাবেক সিভিল সার্জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, কিশোর বসয়ীরা এই সব ওষুধ সহজে কিনতে পাচ্ছে । ফলে দিন দিন এরা আসক্ত হয়ে ওঠেছে। এই সব কিশোরদের স্বাভাবিক জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান সাবেক এই সিভিল সার্জন। ডাক্তার শুভ কুমার ভৌমিক জানান, সেডেটিং এনটিহিসটামিন এন্ড কম্বাইন্ড কফ সুপরিসেন্টস জাতীয় ওষুধ এক এক ফাইল ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যায়। আর এতে আসক্ত হচ্ছে এক শ্রেনির কিশোর।

এসব বিষয়ে নজরদাড়ি বাড়ানোর কথা জানান ডাক্তার শুভ। প্রবীণ ক্রীড়াবিদ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহসভাপতি মোঃ আবু তাহের জানান, শিশু কিশোররা ক্রীড়াঙ্গন থেকে দুরে সরে যাচ্ছে বলেই এরা মাদকাসক্ত হচ্ছে। এরা মোবাইল ফোনে যেমনি আসক্ত হচ্ছে , তেমনি এন্টি হিস্টামেন জাতীয় ঔষুধ বেশি মাত্রায় খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে । এ বিষয় বন্ধ করার জন্য তিনি অভিভাবকদের অনুরোধ জানান।

একই সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সন্ধ্যার পর পাড়া মহল্লায়ও টহল দিতে অনুরোধ জানান। একই কথা জানান এডভোকেট শংকর গাঙ্গুলী । ভোলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য মেজবাহ উদ্দিন শিপু এই মহুর্তে নাগরিক সচেতনার দাবি জানান। একই সঙ্গে প্রেসক্রিপশন ছাড়া শিশু কিশোরদের কাছে ওই সব অসুধ বিক্রি না করারও প্রস্তাব দেন তিনি।

এছাড়া ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান এই সব বিষয় পুলিশ নজরদারিতে আনা হচ্ছে।