ভোলা সদর হাসপাতালে জনবল-চিকিৎসক সংকটে ভোগান্তি

ভোলায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় চালু করা সম্ভব হয়নি ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। বর্তমানে ১০০ শয্যার ভোলা সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনে গড়ে ২৫০ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

যেখানে ২২ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১০ জন চিকিৎসক। গত বছর করোনা ভোলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ২৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য নির্মিত নতুন ভবনে ১০০ বেডের করোনা ইউনিট চালু করা হয়। দুই মাস আগে ৩ বেডের একটি আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হলেও জনবলের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হয়নি।

২১ লাখ মানুষের জন্য করোনা টেস্ট প্রথম দিকে ঢাকা-বরিশাল থেকে করানো হতো।

পরবর্তী সময়ে ভোলার সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের ঐকান্ত প্রচেষ্টায় এখানে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। তার পাশাপাশি চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ভেন্টিলেটর ব্যবস্থাসহ ৩ বেডের আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয় নতুন ভবণে।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র আইসিইউ ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার, নার্স এবং টেকনেশিয়ান দেওয়া হয়নি।

তবে এটি চালু করতে ৬জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার, ৩ জন এনেসথেসিস্ট, ৬ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ২৬ জনের জনবল প্রয়োজন।

অপরদিকে, দুই বছর আগে নির্মিত ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করতে ৩৬ জন ডাক্তারসহ ৯০ জন জনবল প্রয়োজন।

ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. সিরাজ উদ্দিন জানান, ‘করোনা ইউনিটের জন্য ১২ জন ডাক্তার দুই-একদিনের মধ্যেই যোগদান করবেন বলেও তিনি আশা করছেন।
এছাড়া ৩ জন নার্সকে পটুয়াখালী থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছে। তারা আইসিইউ বেডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।’