মক্কাগামী বিমান আটকে দিচ্ছে কাতার, অভিযোগ সৌদির

দোহা থেকে মক্কাগামী হজযাত্রীবাহী বিমান আটকে দিচ্ছে কাতার, এমন অভিযোগ করেছে সৌদি আরব। গত সপ্তাহে রিয়াদ ঘোষণা করেছিল, কাতারের হজযাত্রীদের নির্বিঘ্নে হজ পালনের জন্য সৌদি আরবের আকাশসীমা উন্মুক্ত থাকবে। সেই সঙ্গে কাতারিদের মক্কায় আনতে বিশেষ বিমান পাঠাবে সৌদি আরব।

কিন্তু গতকাল রবিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বিমান চলাচল সংস্থা ‘সৌদিয়া’ দাবি করেছে, দোহার ‘হামাদ’ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

সেই সময় কাতার ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও বলেছিল, রিয়াদের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সৌদি আরবে অবস্থানের সময় কাতারের হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছিল দোহা।

এদিকে গত সপ্তাহে সীমান্ত খুলে দেয়ার পর থেকে শতাধিক কাতারি হজ যাত্রী মক্কায় গিয়েছে বলে এবিসি নিউজে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাতারের পক্ষ থেকে এখনো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও গত সপ্তাহে শেইখ আবদুল্লাহ আল থানি সৌদির বাদশাহ সালমানের সঙ্গে দেখা করার পরও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন বক্তব্য দেয়নি কাতার। আবদুল্লাহ আল থানির ভেরিভাইড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়েছে, শুধু মক্কায় নিয়ে গেলেই নয়, সেই সঙ্গে কাতারের হজযাত্রীদের আরও কিছু সহায়তা প্রয়োজন। যেগুলো চলতি মাসের শেষার্ধে শুরু হবে।

গত জুন মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি দেশটির ওপর জল, স্থল ও আকাশপথে অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশ। এসব দেশ কাতারকে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার অভিযোগ তুললেও দোহা সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।

অবশ্য কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের সময় দেশটির বিমান সংস্থা ‘কাতার এয়ারওয়েজের’ জন্য নিজেদের আকাশসীমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন চার দেশ। এর ফলে তখন থেকে কাতার এয়ারওয়েজ নিজের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ইরানের আকাশসীমাসহ বিকল্প রুট ব্যবহার শুরু করে যা দেশটির জন্য ব্যয়বহুল।