মঠবাড়িয়ায় ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ভুয়া এমবিবিএস ডিগ্রিধারী পরিচয়ে ভিজিট নিয়ে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে দিপু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি বরিশালের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার মৃত মমিন আলীর পুত্র। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই চেম্বার দিয়ে রোগী দেখেন এই ভুয়া চিকিৎসক।

তার কাছে চিকিৎসা নিতে যাওয়া প্রতারনার শিকার মোস্তাফিজুর রহমান মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার বাড়ি টিকিকাটা ইউনিয়নের সূর্যমনি এলাকায়।

অভিযোগে তিনি বলেন,গত ১২ জানুয়ারি ১০ বছর বয়সী অসুস্থ ছেলে মহিবুল্লাহকে ডাক্তার দেখানের জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।হাসপাতালের গেটে আসতে না আসতেই একজন লোক তাদের সামনে এগিয়ে আসেন।হাসপাতালের সামনে বরিশালের একজন ডাক্তার রোগী দেখেন বলে তিনি তাদের জানান।একথা শুনে ওই ডাক্তারের চেম্বারে যান তারা।শুরুতেই শিশু মহিবুল্লাহকে ৩টি টেস্ট দেওয়া হয়। টেস্ট রিপোর্ট পেয়ে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে ওষুধ লিখেন তিনি।এ সময় তিনি নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার বলে পরিচয় দেন।প্রেসক্রিপশনে এমবিবিএস লেখা নেই কেন এমন প্রশ্নেেন জবাবে প্যাড শেষ হয়ে গেছে – ছাপাতে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি শিশুটির বাবা মোস্তাফিজুর রহমানকে বুঝানোর চেষ্টা করেন।ওষুধ খাওয়ার একদিন পরেই শিশুটির শরীর ফুলে যায়। তখন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাঃ রাজীব রায় চৌধুরীর কাছে নিয়ে আসলে তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্বপন কুমার হালদারের নিকট রেফার করেন।তার পরামর্শ অনুযায়ী শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পর সুস্থ হয়।ভুয়া চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় তার দু’টি কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়।এতে প্রায় ১ লক্ষ টাকা চিকিৎসা খরচ মেটাতে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে হিমশিম খেতে হয়।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান,দিপু নামে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আইনের আওতায় আনার জন্য একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু অভিযানের সময় সে পালিয়ে যায়। গোয়েন্দা সংস্থা সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।