মঠবাড়িয়ায় আরসিসি রাস্তা নির্মানে সড়ক ও জনপথের অবহেলা; শোল্ডার না থাকায় জনদুর্ভোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌর শহরের ওপর নির্মিত সড়ক ও জনপথের রাস্তায় শোল্ডার না থাকায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশলী অফিসের কোন জবাবদিহিতা না থাকায় যেনতেনভাবে কাজ করে বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। কাজ ফেলে রাখায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটিকে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে মনে করছেন অনেকেই।

জানা গেছে, পৌর শহরের আরসিসি রাস্তার একপাশে ড্রেন আরেক পাশে শোল্ডার রয়েছে। শোল্ডার ভরাট না করায় বা পার্শ্বঢাল না দেওয়ায় যানজটসহ পথচারীদের চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাস্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাঝে থাকা শোল্ডারে গাড়ির চাকা পড়ে গিয়ে যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাও।

মঠবাড়িয়া পৌর শহরের আরসিসি রাস্তা নির্মানে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর অবহেলায় থানার সামনেই রাস্তা ও থানার বাউন্ডারি ওয়ালের মাঝে থাকা শোল্ডারটি ভরাট করা হয়নি।শুধু থানার সামনেই নয় শহরের ভিতর পুরো রাস্তার একপাশে ড্রেন আরেক পাশে রয়েছে ঝুকিপূর্ণ এই শোল্ডার। যদিও নয় ছয় করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।কাজ অসম্পন্ন থাকায় থানার সামনে প্রতিনিয়ত সৃষ্ট যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশকে।ডিবি পুলিশের অফিস এ রাস্তামুখী থাকায় প্রায়ই যানজটে পড়তে হয় তাদেরকেও।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড এর প্রকৌশলী মাসুদ মিয়া জানান, রাস্তার সাথে শোল্ডারের কাজ ধরা আছে কিনা তা আমার জানা নেই।তবে সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী হয়তো বলতে পারেন।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানান,শোল্ডার ভরাট না করায় জনদুর্ভোগ হয় এটা সত্য। তবে এর জন্য কোন বরাদ্দ নেই।

যদিও শোল্ডার রাস্তা নির্মাণের একটি অংশ।এর জন্য আলাদা বরাদ্দের প্রয়োজন নেই বলে দাবি স্থানীয়দের।এখানে কাজে ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেনকে দুইদিন ধরে একাধিকবার ফোন দিয়েও এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।