মন্ত্রী করার শর্ত দিয়ে জোট করা হয়নি : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জোটের মধ্যে কোনো টানাপড়েন নেই, আর মন্ত্রী করার শর্ত দিয়ে কোনো দলের সঙ্গে জোট করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সঠিক লোককে দায়িত্ব দিয়েছেন।’

মঙ্গলবার সকালে ধানমণ্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

টানা তৃতীয়বার ও বাংলাদেশের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উঠে আসে নতুন মন্ত্রিসভা ও মহাজোটের শরিকদের মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়ার প্রসঙ্গ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জোট করেছি, জোট করার অর্থ এই নয় যে আমরা শর্ত দিয়েছি যে মন্ত্রী করতেই হবে। তাহলে জাতীয় পার্টি তো সেটা মেনে নিয়েছে। মহাজোট তো তাদের সঙ্গেও হয়েছে। তাঁরা তো এখন বিরোধী দলে থাকতে রাজি হয়েছেন। তাঁরা বিরোধী দলে আছেন। এটা নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন উঠে নাই। আমার মনে হয়, বিষয়টা টানাপড়েনের বিষয়, হয়তো বোঝাবুঝির একটা ভুল আছে। সেটা ঠিক হয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘মন্ত্রিসভা তো একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে চলবে। প্রথমেই তো সবাইকে মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, আগেও করা হয়নি। পর্যায়ক্রমে এটা সম্প্রসারণ হবে, রিশাফল হবে। এর মধ্যে কেউ আসবেন, কেউ যাবেন, এটাই স্বাভাবিক।’

আগামীতে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে এমন ইঙ্গিতও দেন ওবায়দুল কাদের। জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের নেত্রী; তাঁর একটা ধারণা আছে দীর্ঘদিনের যে কাকে দিয়ে কোন মন্ত্রণালয় চলবে। এটা মাথায় রেখেই সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছেন।’

ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা যান সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। বেলা ১১টায় সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সেনানীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সবাই।

এরপর স্মৃতিসৌধে থাকা স্মারক বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী।