মশা মারতে গিয়ে তো মানুষ মরতে পারি না : মন্ত্রী

পৃথিবীতে যত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি বাতাসেই ওষুধ দিই, তাতে সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারবো না, যে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়। আমরা সেটি করতে পারি না।

আগামী ১৮ সেপেম্বর জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস। দিনটি পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সেখানেই এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নেরও উত্তর দেন মন্ত্রী। ‘ওষুধের কার্যক্রম ও মশক নিধন ঠিকমতো হচ্ছে না’ বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন কিনা আমি জানি না। কারণ, চিকিৎসার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আমাদের হাসপাতালগুলো দেখবে। মশক নিধনের দায়িত্ব আমাদের মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করবেন।

২০১৯ সাল থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা লক্ষ্য করছি। কয়েক বছর এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ বছর মাত্রারিক্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা আমাদের কাছে সত্যিকার অর্থে বেদনার, কষ্টের। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে আমরা তদারকি করছি। গত বছর পর্যন্ত রোগটি ঢাকাসহ শহরে এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো- সব মানুষের অংশগ্রহণ। যেহেতু আমাদের এখানে ডেঙ্গুর মারাত্মক বিস্তার ঘটেছে, সেহেতু অধিকাংশ এডিস মশাই জীবাণু বহন করে। এখন এই মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনগুলো কাজ করছে। জনগণও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে, তাদের অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু যে পরিমাণ অংশগ্রহণ দরকার, আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে না।

আমাদের দেশে মশা নিধনে সারা বছর কার্যক্রম চলে। তবে এখন চলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ। বর্ষকালের পরে তো এডিস মশা থাকে না, মানে খুবই কম থাকে। পাঁচ থেকে ১০ জন আক্রান্ত হতে পারেন মাসে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা মশা মারার কার্যক্রম চালাই।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীতে যত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো আমরা স্প্রে করি। আর এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারবো না, যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়। আমি যদি বাতাসেই মশাটি মেরে দিই, তাতে সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। তাতে মানুষের ক্ষতি হবে। আমরা তো এটি করতে পারি না। হয়ত এমন স্প্রে করে দিতে পারবো যে সারা বছর আর মশা আসবে না, কিন্তু মানুষ মরে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধ রয়েছে।