মাদারীপুরে ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের আগাম ঈদ

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে মাদারীপুরের ৩০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার সুরেশ্বরী মুরিদানরা ঈদ উদযাপন করছেন।

প্রায় ১৪৭ বছর পূর্ব থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে এসব গ্রামের মানুষ আগাম রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।

সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের গদীনশীন পীর ও আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি খাজা শাহ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আখতার হোসাইন বলেন, সোমবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় মঙ্গলবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী (রা.) এর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্ম প্রাণ মুসলমান মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদানারা একদিন পূর্বে রোজা রাখেন এবং একদিন পূর্বে ঈদ উদযাপন করেন। সে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তাল্লুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী ও শিবচর উপজেলার বাহেরচর, কেরানীরবাট, কালকিনি উপজেলার খাসেরহাটসহ ৩০ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করছেন।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর জেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৩০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে তাল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।

সুরেশ্বর পীরের ভক্ত পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও তাল্লুক গ্রামের আলী আহম্মদ ফকির বলেন, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ সুরেশ্বরী (রা.) এর অনুসারীরা ১৪৭ বছর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। সে হিসেবে আজ আমরা ঈদ উদযাপন করছি।