মামুনুলকে আসামি করে আরও ৩ মামলা

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ করার জের ধরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতের নেতা-কর্মীদের আসামি করে নতুন করে আরো ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় প্রধান আসামি হলেন মামুনুল হক।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে সোনারগাঁও থানায় এই তিন মামলা দায়ের করা হয়। তিনটি মামলায় ২৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনটি মামলার মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বাদী হয়ে ১২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করেন। সোহাগ রনির বাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে তার বাবা হাজী শাহ জামাল তোতা বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করেন। এবং মোগড়াপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ২শ’ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন।

তবে নতুন এই তিনটি মামলার মধ্যে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ন-মহাসচিব মামুনুল হককে।

সোনারগাঁও থানার ওসি (অপারেশন) মো. সাইদুজ্জামান নতুন এই তিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোনারগাঁওয়ে মামুনুল কাণ্ডে এর আগে পুলিশ বাদী হয়ে ২টি ও স্থানীয় একজন সাংবাদিককে মারধর ঘটনায় আরো ১টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তিনটি মামলায় ৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই তিন মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিল হেফাজতের যুগ্ন-মহাসচিব মামুনুল হককে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬টি মামলা দায়ের করা হলো।

নতুন তিনটি মামলার বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা হেফাজতে ইসলামের সক্রিয় কর্মী। তাদের মধ্যে নেতাও রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টিকারী কাউকে আমরা ছাড় দেব না। পর্যায়ক্রমে জড়িত ও অভিযুক্তদের সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। পুলিশ সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।