মার্কিন নির্বাচন: ইলেকটোরাল কলেজ কী?

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকায় ৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।
এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ, চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

তবে মার্কিন নির্বাচনে ফলাফলের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ইলেকটোরাল কলেজ।

ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি অঙ্গরাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট। কোন রাজ্যের কতজন ইলেকটোর বা নির্বাচক থাকবেন তা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। ফলে এই রাজ্যে ইলেকটোরের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫৫। ছোট ছোট কিছু রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার আছে তিনটি করে ভোট। আলাস্কা এবং নর্থ ড্যাকোটা রাজ্যের হাতেও তিনটি করে ভোট আছে।

কোন অঙ্গরাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট থাকবে, তা নির্ধারিত হয় সেখানে কতটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে, তার মাধ্যমে। প্রতিটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের জন্য একটি করে ভোট এবং দুজন সিনেটরের জন্য দুটি ভোট বরাদ্দ থাকে।

উদাহরণ হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৩টি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট রয়েছে। অন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর মতোই সেখানে রয়েছে দুটি সিনেট আসন। ফলে অঙ্গরাজ্যটির মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫টি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা সারা দেশে ভোটারদের কাছ থেকে যে ভোট পান সেগুলোকে বলা হয় পপুলার ভোট। ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে বলা হয় ইলেকটোরাল ভোট।

কোনো একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন তিনি ওই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান। এই বিষয়টি লক্ষণীয়।
ধরা যাক, টেক্সাস রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী যদি ৫০.১% ভোট পান, তাহলে ওই রাজ্যের ৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট সব তারা পাবেন। ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সব রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।