মিয়ানমারের সেনাদের শাস্তির বিষয়ে ভাবছে ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র

সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতনের ঘটনায় সেনা সদস্যদের শাস্তির বিষয়ে চিন্তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের উর্ধ্বতন সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপভিত্তিক বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা। তবে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

চলতি বছর দ্বিতীয় বারের মতো সহিংসতা শুরু হলে রাখাইন প্রদেশ থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

রোহিঙ্গাদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন, নিপীড়নের বিষয়ে বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। কিন্তু আন্তর্জাতিক পারমানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মিয়ানমার সরকার।

এখন নতুন করে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর অত্যাচারের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মিয়ানমার সরকার এবং দেশটির নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। একের পর এক খেতাব এবং সম্মাননা হারাচ্ছেন সু চি। তবুও সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়ে নিজেকে বিতর্কিত অবস্থানেই রাখছেন তিনি।

চলতি মাসের ১৬ তারিখে মিয়ানমার বিষয়ে আলোচনায় বসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ওই আলোচনাতেই মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ আসবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।