মৃত্যুর ২০ ঘণ্টা পরও লাশ করিডরে, কর্তৃপক্ষ বলল পলাতক!

মৃত্যুর ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মৃতদেহ পড়ে ছিল হাসপাতালের ওয়ার্ড করিডরে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল- না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন প্রকাশ রাই (৩৬)।

পরে মৃতের স্বজনরা হাসপাতালে খোঁজ নিতে এসে করিডরে পড়ে থাকা প্রকাশের লাশ শনাক্ত করেন।

আর এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি- মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টে আহত প্রকাশকে আকাশ নামে উদ্ধারকারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ কারণেই সমস্যা ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

প্রকাশ রাইয়ের বাড়ি সিকিমের জোড়থাংয়ে। সিকিমের একটি দুধ সরবরাহ কোম্পানির হয়ে শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম এলাকাতেই তিনি থাকতেন। শনিবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় জখম হলে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।

প্রকাশের কাকিমা নন্দা রাইয়ের দাবি, ‘খোঁজ করতে গেলে প্রথমে জানানো হয় প্রকাশ পালিয়েছে। পড়ে মৃতদেহ দেখে চিনতে পেরে নার্সকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, নাম ঠিক রয়েছে। ঠিকানা মিলিয়ে দেখতে হবে। প্রকাশের সঙ্গে আকাশের নাম জুড়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’

তবে হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘যখন প্রকাশকে পুনরায় ভর্তি করানো হয়, তখন বাড়ির লোক ছিল না। যারা ভর্তি করিয়েছেন তারা ভুল করে আকাশ তামাঙ্গ বলে ভর্তি করিয়েছেন।’