মোশাররফের গাড়িবহরে বাসের ধাক্কা, ছাত্রদল নেতা নিহত

কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই জুয়েল নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। তবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্পূর্ণ অক্ষত আছেন। তিনি দাউদকান্দিতে অবস্থান করছেন।

দুর্ঘটনার পর খন্দকার মোশাররফ হোসেন হোসেন বলেন, ‘আমি ভালো আছি। আমার গাড়িবহরে ছাত্রদল নেতাদের গাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। আমার পৌর বিএনপির নেতাসহ আহত ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যে ছাত্রদল নেতা মারা গেছেন, তিনি আমাদের এখানের। আমি এখন দাউদকান্দিতে রয়েছি।’

খন্দকার মোশাররফের ছেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমিরাবাদ এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যানের ছেলের বিয়েতে যাচ্ছিলাম। আমাদের সামনে ছাত্রদল নেতাদের একটা মাইক্রোবাস ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ছাত্রদল নেতাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিকে মেরে দেয়। আব্বা আমিসহ অন্যরা পেছনের গাড়িতে ছিলাম। আমাদের গাড়ির কিছু হয়নি।’

মারুফ আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় একজন স্পট ডেড। ১২ জন আহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় গৌরীপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’

আমাদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রদল নেতা জুয়েল ওরফে রায়হান (২০) দাউদকান্দি পৌর এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন । গাড়ি বহরটি আমিরাবাদ স্টেশন এলাকায় ইউটার্ন নেয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস গাড়িবহরের একটি মাইক্রোবাসকে চাপা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা দাউদকান্দি পৌর এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে জুয়েল) ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও কমপক্ষে ১৫ জন।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, গুরুতর আহতদের মধ্যে পৌর ছাত্রদল সভাপতি আল-আমিনসহ ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।