যথাসময়ে জবাব পেয়ে যাবে কাতার : সৌদি জোট

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেওয়া ১৩ দফা শর্ত মানা না মানার ব্যাপারে কাতারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক জবাব পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে সৌদি জোট। মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতের মাধ্যমে কাতারের আমিরের লিখিত জবাব হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। তবে কাতারের কাছ থেকে কী জবাব এসেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সৌদি জোট এখন বলছে, ‘যথাসময়ে কাতারের কাছে জবাব পৌঁছে যাবে’। এদিকে কাতারের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার (৫ জুলাই) কায়রোতে বৈঠক করতে যাচ্ছেন সৌদি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ দোহার সঙ্গে সৌদি জোটের বিরোধ নিরসনে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। সোমবার ১৩ দফা শর্তের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানাতে কুয়েত যান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কুয়েতের আমিরের কাছে কাতারের আমিরের হাতে লেখা চিঠি হস্তান্তর করা হয়।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, বুধবার সকালে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে কাতারের জবাব হাতে পাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই টুইটে বলা হয়, ‘কুয়েতের মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-সাবাহ এর কাছ থেকে সৌদি মন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের কাতারের জবাব হাতে পেয়েছেন।’
সৌদি নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যথাসময়ে কাতারের কাছে জবাব পৌঁছে যাবে।’

জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরসহ কয়েকটি দেশ। এ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেয় দোহা। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই সপ্তাহ পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়াসহ কাতারকে ১৩ দফা শর্ত বেঁধে দেয় চার দেশ। শর্ত পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়। সে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ২ জুলাই রবিবার সেই সময়সীমা দুই দিন বাড়ানোর কথা জানায় সৌদি সূত্র। এরইমধ্যে সে সময়সীমা শেষ হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার বলেছিলেন, সৌদি জোটের শর্তগুলো মানবে না দোহা। নিজ দেশের পক্ষে একটি যথাযথ সংলাপ দাবি করেছিলেন তিনি। একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বুধবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সৌদি জোটের দেওয়া শর্তগুলো খুবই অবাস্তব ও মানা অসম্ভব। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই শর্ত মানা সম্ভব না হলেও সংলাপের মাধ্যমে এই সংকট সমাধান করতে চায় কাতার। সংকটের শুরু থেকেই কাতার এর সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।