যশোরের কেশবপুরে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, গ্রেফতার-১

কেশবপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে আহত উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান (২৩) খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২মে রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নারিল্লাহি..রাজিউন)।

এঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭ জনের নাম উলে­খ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ছাত্রলীগ নেতা সোহান হোসেন কেশবপুর পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের পূত্র। তিনি কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। গত ৭ মে (শুক্রবার) সকালে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থকরা বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেল্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৪৫০ টাকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়ার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ গত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদের ভাইপো ছাত্রলীগ নেতা সারাফতাত হোসেন সোহান মারাত্মক আহত হলে তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ মে) রাতে তিনি মারা যান। সোহানের তৃত্যুর খবরে বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়।

সংঘর্ষের ঘটনা উলে­খ করে সোহানের চাচা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদী হাসান (২৮), শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল (৪৬), সোহেল (২৮), রাজু হোসেন (২৩), আব্দুর রশিদ (৪৫), রহিম হোসেন রানা (২৪) ও আমির আলী (৪৫)। মামলায় আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ মামলার প্রধান আসামি বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষে আহত সোহান হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই মামলার আসামি বালিয়াডাঙ্গা এলাকার দাউদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।