যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার

বাংলাদেশকে সেরামের করোনার ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দেওয়ার বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়লে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানা যাবে জানিয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়াচ্ছি। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছি না।

সেরাম ইন্সটিটিউটের টিকার আপডেট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যার জন্য আরও কয়েক সমাপ্ত সময় লাগবে। সে সময়েই এ বিষয়ে বিবেচনা করা ভালো। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে।

বৈঠকের বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসে যুবলীগ এক অদ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অফিস পরিদর্শনের জন্য আগেই আমি প্রতিশ্রুত দিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য উপস্থিত হতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ এবং ভারতের যুবকদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। যুবলীগের সাহায্যে তরুণদের দোরগোড়ায় পৌঁছা এবং ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, তরুণ, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করা৷

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু এবং সুসময়েরও সাথী। সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিনিময়ের মাধ্যমে দুদেশের যুব সমাজের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। যাতে ভবিষ্যতে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করতে পারি। বিষয়গুলো আজকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

এ সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুবনেতা মামুনুর রশীদ, মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), খালেক শওকত আলী, সুব্রত পাল, শেখ ফজলে নাঈম, কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকাল ৩টায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আসেন এবং তিনি যুবলীগ কার্যালয় ঘুরে দেখেন।
এ সময় যুবলীগের পক্ষ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে করোনাকালে যুবলীগের মানবিক কার্যক্রমের দুটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।