যেসব ভুলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারলো বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে দুই দলেরই এটি ছিল তৃতীয় ম্যাচ। শুরুতে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের ৬ উইকেটে ৩৮৬ রানের জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ২৮০ রানে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় – ম্যাচ হারে তারা ১০৬ রানে।

এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি তোলেন সাকিব আল হাসান।

দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সাথে এর আগের দুই ম্যাচে ৭৫ ও ৬৪ করা সাকিব এই ম্যাচে করেন ১২১।

ইংল্যান্ড টানা তিন ম্যাচেই ৩০০ এর ওপর রান করলো এই বিশ্বকাপে। আর ওয়ানডেতে তারা প্রথম দল হিসেবে টানা সাত ম্যাচে তিনশো’র ওপর রান করলো।

যেসব জায়গায় বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল : বল হাতে সাকিবের “অফ ডে”

সাধারণত সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপে নেতৃত্ব দেন।

কিন্তু ইংল্যান্ড আজ তার ওপর চড়াও হয়েই খেলেছে।

প্রথম ৩ ওভারে ৮ রান দেয়া সাকিব শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার বল করে ৭১ রান দিয়েছেন।

মিরাজ-মোসাদ্দেক অকার্যকর

আগের দুই ম্যাচে দেখা গিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত মাঝের ওভারে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

কিন্তু এই ম্যাচে মূলত সেখানেই ইনিংসের খেই হারায় বাংলাদেশ।

৩০ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ৯০ রান তোলে ইংল্যান্ড।

জেসন রয় ও জস বাটলারের ব্যাটিং

জেসন রয়ের ইনিংস ম্যাচটিতে বড় ভূমিকা পালন করে।

১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১২১ বলে ১৫৩ রান তোলেন তিনি।

চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার, ৪৪ বলে ৬৪ রান তোলেন।

বাজে ফিল্ডিং

পুরো ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশের ফিল্ডিং.. খুব একটা ভালো ছিল না।

ফিল্ডিংয়ের সময় ওভার থ্রো’তে বেশকিছু রান দেয় বাংলাদেশ।

বেশ কয়েকটি মিস ফিল্ডিংও হয়েছে এই ম্যাচে।

ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা

প্রথম দুই ম্যাচে সৌম্য সরকার শুরু ভালো করলেও এদিন জোফরা আর্চারের গতির কাছে হেরে যান তিনি।

তামিম ক্রিজে টিকেছেন অনেক সময়, কিন্তু ফল আসেনি।

২৯ বলে ১৯ রান করেন তামিম।

তিন ইনিংসেই তামিম ইকবাল এখনো পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তামিম ২৯ বলে ১৬ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ বলে ২৪ রান তোলেন।

দুই দলের লোয়ার অর্ডারে শক্তির পার্থক্য

ইংল্যান্ডের ইনিংসে ৪৭ ওভার ১ বলে তাদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়, আউট হন বেন স্টোকস।

রপর অষ্টম উইকেট জুটিতে ১৭ বলে ৪৫ রান তোলেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট।

অন্যদিকে শেষ ২০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১.৭ করে রান, অর্থাৎ ২০ ওভারে ২১৭।

সেখান থেকেও ম্যাচ জিতে আসা হয়তো সম্ভব ছিলো।

কিন্তু সাকিবের সাথে কেউই সঙ্গ দেননি উইকেটে।, ফলে রানের গতি কমে আসে সাকিব আউট হওয়ার পর।

লোয়ার অর্ডারের পাঁচ জন ব্যাটসম্যান যোগ করেন মাত্র ৪৭। একমাত্র মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ১৬২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন।