রংপুর-২৩,মিঠাপুকুর -৫ আসনে দলের সবুজ সংকেত পেয়ে উজ্জীবিত রাশেক রহমান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী ঘরানায় বারবার একটি চমকের কথাই আসছে। কি সেই চমক? জনমনে নানা জল্পনা। দলীয় হাইকমান্ডের কয়েকটি সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই চমকের নাম তারুণ্য। এবারের জাতীয় নির্বাচনে তরুণদের টার্গেট করেই এগিয়ে যাবে দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা। বিশেষ করে সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন তরুণ প্রার্থীদের বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে। দলীয় অভ্যন্তরীণ আলোচনায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার তরুণ নেতাদের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। সরকারকে সত্যিকারের ডিজিটাল ও স্মার্ট কাঠামোর ভেতরে আনতেই বঙ্গবন্ধুকন্যার এমন মানসিকতা। দলীয় হাইকমান্ডে যখন তরুণ নেতাদের ওপর ভরসা নিয়ে আলোচনা চলছে,তেমনি রংপুরের মিঠাপুকুর প্রান্ত ভীষণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।আর সেই আত্মবিশ্বাসের স্থানে রয়েছেন তারুণ্যের আইকন রাশেক রহমান।

খোড়াগাছ,রাণীপুকুর,পায়রাবন্দ, ভাংনী,বালারহাট,কাফ্রিখাল, লতিবপুর,চেংমারী,ময়েনপুর,বালুয়ামাসিমপুর,বড়বালা,মির্জপুর,ইমাদপুর, মিলনপুর,গোপালপুর, দুর্গাপুর,বড় হযরতপুর ইউনিয়নগুলো নিয়ে গঠিত রংপুর-২৩,মিঠাপুকুর- ৫ আসনের আনাচে-কানাচে চষে বেড়ানো এই নেতা দীর্ঘদিন ধরেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ প্রচার ও প্রকাশনা কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য এবং জেলা আওয়ামিলীগের সদস‍্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই নেতাকে ঘিরে তৃণমূলেও উচ্ছ্বাসের কমতি নেই।

রংপুর-২৩ মিঠাপুকুর-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস‍্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ হাবিবুন্নবী আশিকুর রহমান। তিনি পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বয়স বিবেচনায় তিনি আর আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছেন না।তবে ছেলে রাশেক রহমানকে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দিতে নিরলস ভুমিকা পালন করছেন। নিজ আসনে ছেলেকে সংসদ সদস‍্য হিসেবে দেখতে চান তিনি।
এদিকে তরুণদের নিয়েই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ বেশি থাকায় ইতিবাচক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় রাশেক রহমানকে ঘিরে। এ ছাড়া উপজেলার সাধারণ জনগণের কাছে সেরা হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝেও প্রিয়। সবমিলিয়ে মিঠাপুকুর -৫ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের টিকিট পাওয়ার দৌঁড়ে তাঁর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একেবারেই সন্নিকটে। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী জোর প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনেও। অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বলে ইতোমধ্যে কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।তাছাড়া কমিশনের প্রস্তুতির চাইতেও বড় তোড়জোড় সম্ভাব্য প্রার্থীদের। শহর থেকে তৃণমূলেই এখন বেশি সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

জানা গেছে, রাশেক রহমান মিঠাপুকুরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে দীর্ঘদিন ধরেই এক ছাতার নিচে একত্রিত করে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একপর্যায়ে তিনি উপজেলার সকল এলাকার সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোতে ঘুরে ঘুরে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেন। এসব এলাকার অবহেলিত ত্যাগী ও দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেন। কেবল মিঠাপুকুর -৫ নয়, পুরো রংপুর জুড়েই বিভিন্ন সময়ে দলীয়, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পোস্টার ব্যানারে শুধু রাশেক রহমানকে দেখা গেছে। যা সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

রাশেক রহমানের সম্ভাবনার কথা জানান উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও।

চেংমারি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম টুটুল জানান, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে চেংমারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তাদের সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষথেকে রাশেক রহমানকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিঠাপুকুর -৫ আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চায়।
দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার বলেন, মিঠাপুকুর -৫ আসন থেকে এমপি হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার মত সকল গুণাবলী রাশেক রহমানের রয়েছে। একজন যোগ্য নেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্চার ভূমিকা রেখে আসছেন যে কারণে আমাদের আগে এলাকার সাধারণ জনগণই তাকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।

বড় হযরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃমতিন বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিঠাপুকুর -৫ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হিসেবে রাশেক রহমানের কোন বিকল্প নেই।তিনি আরও বলেন,রংপুর ২৩,মিঠাপুকুর-৫ আসনের জনগন রাশেক রহমানকে এমপি হিসেবে দেখতে চান। এটা তাদের মুখের কথা নয় এটা তাদের প্রাণের দাবি। রাশেক রহমান এলাকার মানুষের মনের কথা বোঝেন। মানুষের চাহিদার কথা বোঝেন সেজন্য এলাকার আপামর মানুষও তাকে ভালোবাসেন। দলীয় দিক থেকেও একেবারে তৃণমূল থেকে সমন্বয় রেখেই তিনি দলকে সু-সংগঠিত রেখেছেন। কাজেই রাশেক রহমান মিঠাপুকুর-৫ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাক এটা শুধু বড় হযরতপুর ইউনিয়নবাসীর দাবি নয়। এটা মিঠাপুকুর -৫ আসনের প্রতিটা মানুষের মনের কথা।

শাল্টি গোপালপুর ইউপি হারুন অর রশিদ তালুকদার বলেন, শাল্টি গোপালপুর এলাকায় রাশেক রহমানের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এলাকাবাসী তাদের যেকোন ধরনের চাহিদার সময় রাশেক রহমানকেই কাছে পায়। কাজেই এই ইউনিয়নবাসী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিঠাপুকুর-৫ আসন থেকে রাশেক রহমানকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পেতে চায়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস‍্য রাব্বি হাসান বলেন, রাশেক রহমান হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতাকর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান। উপজেলাবাসী নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায় তাই তার প্রতি উপজেলার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। এ আস্থা থেকেই উপজেলাবাসী তাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিঠাপুকুর -৫ আসন থেকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।

মিঠাপুকুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম শামীম বলেন, মিঠাপুকুর উপজেলার পক্ষ থেকে আমরা মনে-প্রাণে রাশেক রহমানকেই আগামীতে মিঠাপুকুর -৫ আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চাই।তিনি আরও বলেন, আমার জানা মতে উপজেলার পক্ষ থেকে কোন দ্বিমত নাই। কারণ উপজেলার উন্নয়নে তার রয়েছে বিশেষ নজরদারি। মিঠাপুকুর -৫ আসনের রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

লতিবপুর ইউপি ইমারত নির্মাণ শ্রমিকের সভাপতি ও লতিবপুর ইউপি বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃনূর আলম মিয়া বলেন, লতিবপুর ইউনিয়নে ৯টি ভোট কেন্দ্রই রাশেক রহমানের ভোটের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এলাকাবাসীর কাছে রাশেক রহমান যোগ‍্য ও সৎ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে আছেন। এই ইউনিয়নবাসী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিঠাপুকুর-৫ আসন থেকে রাশেক রহমানকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পেতে চায়।

অন্যদিকে, দলের সবুজ সংকেত পেয়ে তৃণমূল পর্যায়ে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন রাশেক রহমান এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিন ধরে শোনা যায়। দলীয় হাইকমান্ডের তরফ থেকে তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও আভাস পাওয়ার কথা শোনা যায়।

সরেজমিনে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ঘুরে তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারদের মন কাড়তেও সক্ষম হয়েছেন এই রাশেক রহমান।

আগামী নির্বাচনে নৌকার টিকিটে লড়াই করার আশাবাদ ব্যক্ত করে রাশেক রহমান বলেন, আমার সমস্ত ভাবনা জুড়ে মিঠাপুকুর উপজেলার জনগন ও তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। আশা রাখি আগামী নির্বাচনে রংপুর ২৩,মিঠাপুকুর-৫ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে পারবো।তিনি আরো বলেন,তরুণেরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়ায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে।
তাই তরুণদের সম্ভাবনা কাজে লাগানো উচিত মনে করেই আমি আমার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করি।