রাজধানীতে সড়ক খননে সমন্বয়ের অভাব, জনভোগান্তি চরমে

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কিছুদিন পর পর রাজধানীর সড়ক-মহাসড়ক খোঁড়াখুঁড়ি জনভোগান্তির চরম রুপ ধারণ করেছে। জনভোগান্তির কারন হিসেবে সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষা ও সমন্বয় সাধনের অভাবের অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

তিনি বলেন, সড়ক খনন নীতিমালায় বর্ষা মৌসুমে খননকাজ পরিহার করার কথা উল্লেখ থাকলেও এর তোয়াক্কা করছে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। পুরো মৌসুম জুড়েই চলেছে সড়ক খননের কাজ। এখনও রাজধানীর যেদিকেই যাই সেদিকেই চোখে পড়ে খনাখন্দ। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে জমছে পানি, ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। প্রায় সব এলাকাতেই সড়কে নেমে নাজেহাল হচ্ছে রাজধানীবাসী। ঢাকার শহর যেন মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে।

আজ ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত মহানগরের দ্বায়িত্বশীলদের মাসিক এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে অন্যানের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ মুরাদ হোসেন, সহ সাংগঠনিক মুফতী ফরিদুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন (পরশ) প্রমুখ।

নগর সভাপতি বলেন, সেবা সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময় সড়কের নিচে পানি, পয়ঃপ্রণালী, ড্রেনেজ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিকমিউনিকেশনসহ জরুরী প্রয়োজনে নগরীর বিভিন্ন সড়ক খনন করে। কিন্তু খনন এবং তৎপরবর্তী মেরামতে সমন্বয় ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রায়ই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের পাহাড় সম অভিযোগ এবং প্রচারমাধ্যমে বহুবার বিষয়টি উঠে আসার পরও এ ব্যাপারে বিশেষ অগ্রগতি নেই। তিনি আরো বলেন, এক সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ির পর পুনর্র্নিমাণে যায় দীর্ঘ সময়। আবার পুনর্র্নিমাণের কিছুদিনের মধ্যে আবার অন্য সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ির বিষয় নিয়মিত ঘটছে। ফলে সড়কের যে অংশ কাটা হয়েছে, সে অংশ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা বা যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে করে আশপাশের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, জনভোগান্তি কমাতে এলাকাভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপের সঙ্গে সেবা সংস্থার আলোচনা ও করণীয় নির্ধারণ, সড়ক খনন নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ, নীতিমালা অনুযায়ী ‘ওয়ান স্টপ’ সমন্বয় সেল এবং সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি ‘মনিটরিং সেল’ কার্যকর করা প্রয়োজন। পাশাপাশি নির্মাণ অব্যবস্থাপনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, অযোগ্য ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে।