রাজনৈতিক শূণ্যতায় সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে : ন্যাপ মহাসচিব

দেশে রাজনৈতিক শূণ্যতার কারণে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হতে পারে না।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পদ্মা সেতুর নাম শেরে বাংলার নামে নামকরণের দাবীতে শেরে বাংলা গবেষণা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সকলের জন্য সমন্বিত চিন্তা করার জায়গা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ধারণ, লালন, চর্চা করতে হবে। নীতি, নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধকে ধারণের মাধ্যমে শেরে বাংলাদের আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশপ্রেমের কোনো বিকল্প নেই এবং সৎ রাজনীতিকদের সামনে নিয়ে আসার বিকল্প নেই। শেরেবাংলাকে প্রকৃতপক্ষে স্মরণ করতে হলে চোখ বন্ধ করে মনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভাবতে হবে শেরেবাংলা কী চেয়েছিলেন, আমরা কী করছি। আর শেরেবোংলার আদর্শের উত্তরাধিকার যারা বহন করবেন তাদের সমর্থন করতে হবে।

পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের মহাসচিব আর কে রিপন, বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হামান নিজামী, ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক মিতা রহমান, ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রর সভাপতি সাইফুল ইসলাম শুভ, এশিয়া স্বপ্নপুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ জে আলমগীর, সংগঠনের সাদিয়া রহমান, মায়া আক্তার, সাগর হাসান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদা আক্তার পপি প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থেই উপমহাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির অন্যতম পথিকৃৎ, কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের নেতা ও অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হককে স্মরণ করতে হবে আমাদের।

তিনি বলেন, শেরে বাংলা এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য শেরে বাংলার অসীম মমত্ববোধ এ দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

মানববন্ধন থেকে পদ্মা সেতুর নাম শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নামে নামকরন এবং তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের জোর দাবী জানানো হয়।