রাতে গ্রেফতার, ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গ্রেফতারে পর পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাবেদ মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ কাইতলা ইউনিয়নের মহেশপুর সড়কের হাওয়ারভাঙ্গা সেতুর কাছে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

জাবেদ একই ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্বপাড়া এলাকার ইদন মিয়ার ছেলে।

পুলিশের দাবি, নিহত জাবেদ মিয়া তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা ও মাদকসহ নানা অভিযোগের ৯টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন, নবীনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইহসানুল হাসান, অসীম চন্দ্র ধর, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম এবং কনস্টেবল নাজমুল হোসন ও পারভেজ। তাদের নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, চার রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং চারটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে একটি মামলায় জাবেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জাবেদের দেয়া তথ্যমতে তাকে নিয়ে হাওয়ভাঙ্গা সেতুর কাছে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ।

পরে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সেতুর নিচে নেয়ার সময় তার সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে জাবেদসহ আমাদের পাঁচজন সদস্য আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। ভোর পাঁচটার দিকে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাবেদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জাবেদ নবীনগর থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে ৯টি মামলা রয়েছে।