রামদেবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সব সমস্যার সমাধান নাকি যোগ। যোগেই পরম শান্তি। তবে এবার যোগ ছাড়াও একটু আইনি সদুপদেশের প্রয়োজন যোগগুরু বাবা রামদেবের। এক বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল হরিয়ানার রোহতকের একটি আদালত। বিচারপতি হরিশ গোয়েল ওই পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়াও আগস্ট মাসের ৩ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, ‘ভারত মাতা কি জয়’ না বললে মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে বলে প্রকাশ্যে জনসভায় হুঙ্কার দিয়েছিলেন রামদেব। তারই জেরে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে মে মাসের ১২ তারিখ যোগগুরুর বিরুদ্ধে একটি জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। এদিনের শুনানির পর মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবার সমন পাঠানো সত্বেও আদালতে হাজিরা দেননি রামদেব তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গতবছর, এপ্রিল মাসে জাট বিক্ষোভের পর রোহতকে আয়োজিত ‘সদ্ভাবনা সম্মেলনের’ আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে বাবা রামদেব প্রকাশ্যে হুঙ্কার দিয়েছিলেন, “ভারত মাতা কি জয় বলতেই হবে। এর অন্যথা হলে মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে। আইনকে সম্মান করি নইলে দেশদ্রোহীদের গলা নিজের হাতে কেটে ফেলতাম। ” ওই ঘটনার পরই রামদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস নেতা সুভাষ বাত্রা।

ইতিমধ্যে, যোগের মাধ্যমে শরীর সারিয়ে তোলা ছাড়াও, দুর্নীতির রোগ সারাতে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত পন্থা বাতলে একাধিকবার সংবাদের শিরোনাম দখল করেছেন রামদেব। সম্প্রতি, কী করে উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে সেই পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি। যোগগুরুর দাওয়াই, ভারতীয় সেনার উচিত সীমান্ত সংলগ্ন পাক সেনাঘাঁটিগুলি ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর ভারতের ন্যায্য অধিকার রয়েছে। ভারতের উচিত দ্রুত ওই এলাকার দখল নেওয়া। কাশ্মীরে যাবতীয় সমস্যার মূলে রয়েছে পাকিস্তান। শনিবার এরকমই একের পর এক মন্তব্য করেছিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন