লকডাউনে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া হঠকারিতা : বাংলাদেশ ন্যাপ

কঠোর লকডাউন চলাকালে যখন গণপরিবহন বন্ধ, শ্রমিকরা যখন গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করছে ঠিক তখন ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়া সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া অন্য কিছুই নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, গণপরিবহন বন্ধ রেখে শিল্প-কারখানা যারা খুলে দিলেন তারা প্রমান করলেন তাদের মাথায় জনগনের স্বার্থের বিষয়টি সকল সময়ের মত এবারও উপেক্ষিত। তাদের মাথায় এই বিষয়টিও নাই যে, চাকরি করা শ্রমিকরা এখন গ্রামের বাড়ি। ৫ তারিখ পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকলে তারা কি উড়ে আসবে? এসব অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার অর্থ কি দাড়ায় ?

শনিবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার পর আর লকডাউন জারি রাখার কোন অর্থ নেই। সরকারের উচিত লকডাউন তুলে দিয়ে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং সব গার্মেন্টস ও শিল্প-কাখানা কর্মীকেও টিকা দেয়া নিশ্চিত করা।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় যেহেতু লকডাউন সমাধান নয়, তাই গণটিকা কর্মসূচি আরও জোরদার করতে হবে। এখন যেভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে তাতে আগামী দুইবছরেও টিকা দেয়া শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান টিকা কেন্দ্র চালু করে টিকা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। নিবন্ধন পদ্ধতি আরো সহজ করতে হবে। কারন, নিবন্ধন জটিলতার কারণে নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিত মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।

তারা বলেন, টিকার নিবন্ধন ফরম তৈরী করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিংবা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সেগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া, যাতে করে আগ্রহীরা ফরম দুটি পূরণ করে ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে গিয়ে সহজেই টিকা গ্রহন করতে পারে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা টিকা দিয়ে ফরমের একটি অংশ কেন্দ্রে জমা রাখবে। ফরমের সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড কিংবা অন্য কোনো আইডি কার্ড রাখবে।

নেতৃদ্বয় সরকারকে সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় করোনা চিকিৎসায় ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়ার দাবী জানিয়ে বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই জনগণের জীবনে স্বস্তি আসবে এবং জীবন রক্ষা পাবে।