লকডাউন শিথিলের খবর শুনেই বেড়েছে মানুষের আনাগোনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীসহ দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করার খবর শুনেই মানুষের আনাগোনা বেড়ে গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হতে শুরু করেছে নগরবাসী। পথচারীর সংখ্যা বেড়েছে, সেই সঙ্গে উবার-পাঠাও চালকরাও নেমেছে সড়কে।

কঠোর লকডাউনে শেষ হতে এখনো দুই দিন বাকি। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে মানুষজন ও যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে।

কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের জরিমানা করা হলেও রাজধানীজুড়ে অনেক স্থানে থাকা চেকপোস্টগুলো শিথিল থাকতে দেখা গেছে। লকডাউনের পুরো সময়েই রাস্তায় রিকশার উপস্থিতি বেশি ছিল। এখন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চলাচলও বেড়েছে।

গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত থাকছে। তবে এই সময়ের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও জনমানুষের মধ্যে তা কমই দেখা গেছে।

কঠোর লকডাউনের ১৩তম দিনে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের পাশে অনেক পাঠাও চালক যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। খিলক্ষেত, কুড়িল, বাড্ডা, নতুনবাজার ও রামপুরা এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

পথচারী সুজন মিয়া বাংলানিউজে বলেন, লকডাউন তো শেষ। সাসনে ঈদ, এখন কিছু কাজ করতে না পারলে ঈদ করবো কেমনে? এমনিতেই ব্যবসার ১২টা বাইজা গেছে। কারওয়ান বাজারে যাবো পার্টির সঙ্গে কথা বলতে। পাঠাওতে যাবো। কিন্তু ভাড়া বেশি।