সঙ্গীর মৃত্যুর আট মাস পরে অবিশ্বাস্য সত্যি জানলেন প্রেমিকা

প্রায় আড়াই বছর ধরে একটা সন্তান চাইছিলেন স্টেফানি থম্পসন এবং তাঁর বয়ফ্রেন্ড ড্যান মুরিহেড। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও মা-বাবা হতে পারেননি তাঁরা। ইংল্যান্ডের প্লাইমাইউথ শহরের এই যুগলের ছ’বছরের সম্পর্ক। কিন্তু গত বছর ২৩ মে সকালে আচমকাই তাঁদের সম্পর্কে চিরতরে দাঁড়ি পড়ল।

সেদিন সকালে ঘুম থেকে আগেই উঠেছিলেন ২৪ বছরের স্টেফানি। কিন্তু অনেক ডাকাডাকির পরেও ওঠেননি ২৯ বছরের ড্যান। চিকিৎসকরা এসে দেখেন, সব শেষ। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ড্যান। ময়নাতদন্তে জানা যায়, হৃদযন্ত্রে দু’টি সমস্যা ছিল ড্যানের। যা কোনওদিন চিকিৎসায় ধরা পড়েনি।

ছ’বছরের সঙ্গীকে হারিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্টেফানির। সঙ্গীকে হারিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন এই তরুণী। এইভাবেই ড্যানের মৃত্যুর পরে কেটে গিয়েছিল আট মাস। সঙ্গীর মৃত্যুর আট মাস পরে অবিশ্বাস্য সত্যি জানলেন প্রেমিকা। গত জানুয়ারি মাসে হঠাৎই পেটের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন স্টেফানি।

বিষয়টি ড্যানের সৎমা-কেও জানান স্টেফানি। তাঁর পরামর্শেই একজন চিকিৎসকের কাছে যান স্টেফানি। ওই চিকিৎসক জানান, স্টেফানি গর্ভাবস্থার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। এর পরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি ফুটফুটে শিশুপুত্রের জন্ম দেন স্টেফানি।

কিন্তু তিনি যে সন্তানসম্ভবা, তা বুঝতে এত সময় কেন লাগল ওই তরুণীর? স্টেফানি জানিয়েছেন, পেট ফুলতে দেখে তিনি ভেবেছিলেন তাঁর বোধ হয় ওজন বাড়ছে। কিন্তু হিসেব বলছে, ড্যানের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগেই সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অথচ কখনওই তিনি বা ড্যান, তা বুঝতে পারেননি।

সন্তানের নাম জেসি রেখেছেন স্টেফানি। কারণ অনেক থেকেই নিজেদের সন্তানের জন্য যে নামগুলি তাঁরা ঠিক করে রেখেছিলেন, তাঁর মধ্যে অন্যতম ছিল জেসি। ছোট্ট জেসিকে পেয়ে ফের নতুন করে বাঁচার মানে খুঁজে পেয়েছেন স্টেফানি। কিন্তু ড্যানকে পাশে না পাওয়ার হতাশা যেন কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি।

স্টেফানির কথায়, ‘‘প্রথম যখন জানতে পারলাম মা হতে চলেছি, অসাধারণ অনুভূতি হয়েছিল। ভেবেছিলাম, ড্যান এখনও আমার মধ্যে বেঁচে রয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে বিষয়টি আমার হৃদয়কে ভেঙে খান খান করে দিয়েছিল। আড়াই বছর ধরে আমরা একটা সন্তান পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। বাবা হওয়ার কথা ভেবেই ভীষণ উৎসাহিত হয়ে পড়ত ড্যান। আমি জেসিকে বলব, ওর বাবা কে ছিল।’’ –এবেলা