সন্ত্রাসী হামলায় নারায়ণগঞ্জে বিধবার পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত
নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সোনারগাঁও কাঁচপুর এলাকার বিধবা মোসাঃ নারগিস আক্তারের নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় বাড়ীর দারোয়ান মারাত্বকভাবে আঘাত প্রাাপ্ত হন বলে জানা যায়।
গত ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ আনুমানিক রাত দশটার সময় ৮-১০ জন ব্যক্তি মুখোশ পরিহিত অবস্থায় নারগিস আক্তারের ৩২৯ সোনাপুর, সোনারগাঁও কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা বাড়িতে প্রবেশ করার সময় বাড়ীর দারোয়ান সোলায়মানকে বেদম ভাবে প্রহার করে এবং জোরপূর্বক বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা বিধবা নারগিস আক্তারের মেয়ে এরিনা জাহান রিমিকে খোঁজ করে। এরিনা জাহান রিমিকে খুঁজে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং এ সময় উপস্থিত বাড়ীর মালিক ও রিমির মা নারগিস আক্তারকে নানানভাবে হুমকি দেয়। বাড়ীর মালিক নারগিস জানান, “মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা ধমক দিয়ে বলেন, রিমি বেশিদিন পালিয়ে থাকতে পারবে না। তাকে একদিন আমাদের হাতে ধরা পড়তেই হবে। ধরা পড়লে আমার বন্ধু তাকে বিবাহ করবে, কেউ আটকাতে পারবে না। যদি বিবাহে রাজি না হয় ও বেশী বাড়াবাড়ী করে তবে তার ইজ্জতহানিসহ জীবনাশ করা হবে।”
বাড়ীর মালিক নারগিস আরো জানান, “সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে বলেন সরকার পরিবর্তন হয়েছে তো কি হয়েছে, আমার বন্ধুর সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনেক কর্মকর্তার ঘনিষ্টতা আছে। কাঁচপুর আগেও আমাদের কথায় চলতো এখনো তেমনভাবে আমাদের কথায় চলবে।”
ঘটনাকালীন সময়ে নারগিস আক্তার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট করবেন বলে জানান। অতঃপর প্রতিউত্তরে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের একজন নারগিস আক্তারকে ধাক্কা দেন। এতে উনি মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
উক্ত সংবাদ সংগ্রহকালীন সময়ে নারগিস আক্তার ভীত সন্ত্রস্ত কন্ঠে উল্লেখ করেন, “সন্ত্রাসীরা আমাকে লক্ষ্য করে হুমকি দিয়ে বলেছিল, পুলিশ তোর মেয়ে রিমিকে আমাদের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না্ পুলিশ আমাদের কথায় উঠে আর বসে, পুলিশ বাঁচাবে কেমন করে। ভাল করে মনে রাখ, আমরা যেভাবে বলবো সেভাবেই হবে। বাংলাদেশের যেখানেই থাকিস, আমরা তোদের খুঁজে বের করবো। এইসব বলে মুখোশধারী সন্ত্রাসী দল চলে যায়।”
এই প্রতিবেদক নারগিস আক্তারকে জিজ্ঞেস করেন সন্ত্রাসীদের কাউকে তিনি চেনেন কিনা। তিনি প্রতিবেদককে জানান, এর আগেও সন্ত্রাসীরা একাধিকবার বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে গেছে, নীচ থেকে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করে হুমকি দিয়ে গেছে। তবে তাদের কাউকে তিনি চেনেন না। নিজের ও মেয়ের ভবিষ্যৎ ও জীবন নিয়ে তিনি মারাত্মক ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন