সবুজ কফি বীজের বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা

সিদ্ধ করা হয়নি এমন কফি বীজকে গ্রিন কফি বিন বলে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে যা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে। সবুজ কফি বীজের নির্যাস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত উপকারিতাও আছে এর। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক গ্রিন কফি বিনের স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে।

১. ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধঃ

যদিও কফি বীজ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নয়, তবুও এতে কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল ও থাকে। এক কাপ তরল কফি বীজে ৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১১৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম এবং ০.৫ মিলিগ্রাম জিংক থাকে। এতে ভিটামিন বি ৬, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন এবং ফোলেট থাকে।

২. উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ

সবুজ কফি বীজে ক্লোরোজেনিক এসিড থাকে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা যায় যে, ১৪০ মিলিগ্রাম সবুজ কফি বীজের নির্যাস প্রতিদিন গ্রহণ করলে রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ কমে। এর ফলে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।

৩. ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ

সবুজ কফি বীজের ক্লোরোজেনিক এসিড ক্যান্সার প্রতিরোধের একটি কার্যকরী প্রতিনিধি। ক্লোরোজেনিক এসিড পাকস্থলীর কার্সিনোজেনিক যৌগকে নিরপেক্ষ করার ক্ষমতা রাখে। সবুজ কফি বীজের নির্যাস গ্রহন করলে শরীরে এই এসিড প্রবেশ করে এবং ক্যান্সার হওয়াকে প্রতিরোধ করে।

৪. মেজাজের উন্নতি ঘটায় এবং জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ

সবুজ কফি বীজে যে ক্যাফেইন থাকে তা মেজাজের উপর এবং মস্তিষ্কের উপর ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। ক্যাফেইন স্মৃতি, সতর্কতা, ফোকাস, ক্লান্তি সহ্য করার ক্ষমতা এবং জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

৫. কার্ডিওভাস্কুলার সুরক্ষা দেয়ঃ

নিয়মিত সবুজ কফি বিনের নির্যাস পান করলে হাইপারটেনশন হওয়ার ঝুঁকি কমে। এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ক্লোরোজেনিক এসিড। এর ফলে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধে না এবং হাইপারটেনশন এমনকি হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ও ঝুঁকি কমে।

৬. ওজন কমতে সাহায্য করেঃ

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সবুজ কফি বীজ এক্সারসাইজ, ডায়েটিং বা নিজস্ব রুটিনের কোন পরিবর্তন করা ছাড়াও ওজন কমতে সাহায্য করে।

৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধঃ

সবুজ কফি বীজ এবং এদের থেকে উৎপন্ন পণ্যে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের কোষ ধ্বংসকারী ফ্রি র্যােডিকেলের প্রভাব কমতে সাহায্য করে।