সাতক্ষীরার কলারোয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিএম নজরুল ইসলাম আর নেই

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমান সহ.সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বিএম নজরুল ইসলামের ইন্তেকাল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকাস্থ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না..রাজিউন)।

তার বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, ৪ কন্যা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাী রেখে গেছেন।

বিএম নজরুল ইসলাম কলারোয়ায় নজরুল সাহেব নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। নিজে একটি দলে সক্রিয় সম্পৃক্ততা থাকলেও দলীয় আবর্তের বাইরে তিনি ছিলেন দলমতনির্বিশেষে সর্বজনবিদিত ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বহু সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিলো তার হাতের ছোঁয়া ও সম্পৃক্ততা।
তার মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কলারোয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনের আরো একটি অধ্যায়ের অবসান হলো।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিএম নজরুল ইসলাম হার্টের বাইপাস সার্জারিরত অবস্থায় হঠাৎ কিডনি ও হার্টের সমস্যা অনুভব করায় ডাক্তার শফিকুল ইসলামের পরামর্শে দ্রুততার সাথে বিমান যোগে গত বুধবার রাতে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

ঢাকায় দুপুরের পর তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার স্বজন, রাজনৈতিক সতীর্থ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বিএম নজরুল ইসলামের মৃত্যুর সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পারিবারিক ভাবে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে মরহুমের লাশ ঢাকা থেকে কলারোয়ার বাড়িতে আনা নবে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে জানাযা নামাজ শেষে বাসস্টান্ড সংলগ্ন বাড়ির পার্শ্বের পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।