সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ‘আকর্ষণীয়’ অপরিপক্ক আম বাজারে!

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল সহ তার আশেপাশের ইউনিয়ন গুলোতে ‘আকর্ষণীয়’ অপরিপক্ক আম গাছ থেকে পেড়ে কেমিক্যাল স্প্রে করে তা বিকিকিনি হচ্ছে উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে।

নির্ধারিত সময়ের আগে ক্যামিকেল দিয়ে ‘আকর্ষণীয়’ অপরিপক্ক আম বাজারজাত করে লাভবান হচ্ছে এসব অসাধু ব্যাবসায়ীরা। বাজারে বেশ আগেই আসা আমগুলো অস্বাভাবিক ভাবে পাকানোর পথে থাকে, অথচ বিক্রয় হচ্ছে অনেক চড়া দামে। ক্রেতারা চড়া দামে আম ক্রয় করেও পাচ্ছেনা প্রকৃত কোন আমের স্বাদ। এমনকি বেশিরভাগ আমের আটি এখন শক্ত হয়নী। আর সে কারনে আমের উপর অংশ সুন্দর চেহারা হলেও ভিতর কাচাঁ।

কেমিক্যাল দিয়ে বাহ্যিক সুন্দর দেখতে ওই সকল আম অতিরিক্ত মুনাফার আশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যাবসায়ীরা বাজারজাত করছে।

জানা গেছে, অপরিপক্ক কাচা আম কার্বাইড দেয়া শুরু হয়েছে এসব আমের পচন ঠেকাতে ও চেহারা সুন্দর রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশক্ত ফরমালিন। ক্রেতার কাছে ‘আকর্ষণীয়’ করতে মেশান হচ্ছে কৃত্রিম রঙ। পাকা আমের মত দেখতে হলেও নেই পাকা আমের স্বাদ। কৃত্রিমভাবে পাকান আম মানবস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতিকর।

ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখন বেশির ভাগ আম যায় ঢাকায়। রাজধানীর পাইকারি ফলের আড়ত বাদামতলী, কাওরানবাজার, ও যাত্রাবাড়ী সহ বিভিন্ন খুচর মার্কেটে। আগাম আমের উপর ক্রেতাদের বাড়তি এক ধরনের আগ্রহ থাকে। তাছাড়া রোজার সময় বিভিন্ন ফলের চাহিদা থাকাটায় স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে নতুন আমের উপর চাহিদা বেশি। তারউপর এখন রমজান মাস। রমজানে ইফতারে কাচা কিংবা পাকা আমের স্বাদের জুড়ি নেই। এই আমের চাহিদা বেশি থাকার সুযোগে প্রাকৃতিক নিয়মে খাওয়ার উপযোগীর আগেই কিছু অস্বাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ক আম রাসায়নিক দিয়ে বাজারে নিয়ে আসে।

ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা জেলা সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কেমিক্যাল মেশান আম জব্দ করে নষ্ট সহ ব্যবসায়ীকে জরিমান ও কারাদণ্ড দিলেও কোন তুয়াক্কা না করে পূনারয় এহেন অপরাধ অব্যাহত রেখেছে।

কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের একজন ব্যবসায়ীর কাছে কেমিক্যাল মেশানো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমে কেমিক্যাল মেশায় লাভের জন্য। চাম্পাফুল ইউনিয়নে মোট ৩০ জনের মত আম ব্যাবসায়ী আছি, আমরা নিজেরা আম বিক্রয় করি না। চাম্পাফুল গ্রামের সুবোধ গাইনের ছেলে অমিতোষ গাইন, জোহর আলীর ছেলে মনিরুল, খোদা বক্স এর ছেলে জাহাঙ্গীর ও অরুর এর মধ্যমে গাজীরহাট শফি ট্রান্সেপোর্টে তারপর সেখান থেকে ঢাকায় যায়। আর এ কাজের জন্য উক্ত চার জনকে মোটা অংকে টাকা দিতে হয়। প্রতি বছর তারা চারজন ডিবি, পুলিশ, সাংবাদিকদের নাম করে আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে।’

বর্তমান বিশ্বে সহ দেশ জুড়ে চলছে মহামানী করোনাভাইরাস মানুষের জীবনে অনেক ঝুকি ঠিক সেই সময় দেশের মাত্র সামান্য কয়েক জন অস্বাধু ব্যবসায়ী তাদের অর্থ হাচিলের লক্ষ পূরন করার জন্য সাধারণ মানুষকে খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ঠেলে দিচ্ছে।

বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রসাশনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেতন মহল।