সাতক্ষীরার মুশফিক, খুলনা বিভাগের সেরা ক্ষুদে গবেষক নির্বাচিত

জাতীয় চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন, ২০২১ এ সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মুশফিকুর রহমানের গবেষণাপত্র খুলনা বিভাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬.১৫টায় এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

‘চিন্তার চাষ’ এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোবারক আহমেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. এম. আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবা আই সেরাজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুর রহমান।

সারাদেশের ৭ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির ক্ষুদে গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে। মুশফিকুর রহমানের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার কারণ নিয়ে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে। শীঘ্রই মুশফিকের গবেষণাপত্রটি জাতীয় গবেষণা সম্মেলন, ২০২১ এর প্রকাশিতব্য জার্নালে প্রকাশ করা হবে।

অনুভূতি জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। প্রকাশ হলে আপনারা সবাই বইটি পড়বেন। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আমার গবেষণাপত্রের প্রশংসা করেছেন। আমি অভিভূত।

সাতক্ষীরার পলাশপোলের মো. মানসুর আলী ও মহুয়া পারভীন দম্পত্তির ছেলে মুশফিকুর রহমান। মুশফিকের বাবা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা। পুত্রের সাফল্যে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমাদের অনুভূতির কথা বলে বোঝানো যাবে না। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। সে যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারে।

ছাত্রের এমন অর্জনে গর্বিত মুশফিকের শিক্ষকরা। সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রাশিদ হাসান খান চৌধুরী বলেন, স্কুলের সকল শিক্ষকের প্রিয় মুশফিক, সে সৃজনশীল, মেধাবী এবং বিনয়ী ছেলে। তথ্য-প্রযুক্তিতে তার দখল অনেক আমাদের সাহায্য করে সবসময়। ছোট থেকে বড় সবার প্রিয়। আমরা গর্বিত মুশফিককে নিয়ে।

এদিকে মুশফিকের সাফল্যে জেলার শিক্ষার্থীরাও দারুণ উচ্ছ্বসিত। সাতক্ষীরার সাধারণ শিক্ষার্থীদের মোর্চা সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহিন আলম বলেন, জেলার শিক্ষার্থীদের কাছে মুশফিক ও তার গবেষণাপত্র একটি দারুণ দৃষ্টান্ত। তার সাফল্য অনান্য শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করবে বলে বিশ্বাস করি।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে মুশফিক জানান, বড় হয়ে একজন উদ্ভাবনী গবেষক হতে চাই। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।

উল্লেখ্য, স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ও সৃজনশীলতা লালনের লক্ষ্যে স্কুলে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী গবেষণা সংগঠন ‘চিন্তার চাষ’।