সাতক্ষীরায় মেয়রের হঠকারিতায় বেতন না পেয়ে পৌরসভার গেটে তালা

চার মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে বেতন ভাতার দাবিতে সাতক্ষীরা পৌরসভা ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে অনশন করেছে পানি শাখার কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা চলে অনশন কর্মসূচি। এতে করে বিপাকে পড়ে পৌরসভায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার পানি শাখার কর্মচারীরা তাদের চার মাসের বকেয়া বেতনের পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে বেতন-ভাত দাবি জানান কর্মচারীরা। পরে সকল কাউন্সিলরদের আশ্বাসে অনশন কর্মসূচি বন্ধ করেন।

পানি শাখার মিটার রিডার শহিদুল ইসলাম জানান, সাকল থেকে বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করি। বিকাল তিনটায় পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে সকল কাউন্সিলর আমাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। এবং আমরা যাতে বেতন ভাতা পাই সেজন্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। আমরা তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেছি।

পানি শাখার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মুদিখানার দোকান গুলোতে আমাদের হাজার হাজার টাকা বাকি হয়েছে। গত চার মাস ধরে মেয়র মহোদয় আমাদের বেতন ভাতা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও আমাদের বেতন ভাতা দিচ্ছেন না। তাই আজ বাধ্য হয়ে আমরা কর্ম বিরতির পাশাপাশি পৌরসভার গেটে তালা দিয়েছি।

আন্দোলনরত কর্মচারী বাবলু বলেন চারমাস বেতন বন্ধ থাকায় আমরা খুবই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। বেতন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা পাম্প চালাবোনা।

জানা যায় সাতক্ষীরা পৌরসভার পানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯৯৮ সালে। কিন্তু বর্তমান বিদ্যুৎ বিলের সাথে পানির বিল সমন্বয় না করার কারণে পানি শাখার আয়ের থেকে খরচ বেশি হচ্ছে। বর্তমানে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন শাখায় ৫ কোটি ৬২ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হোসেন বলেন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মেয়র তাসকিন আহমেদ ৭৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯’শ ২টাকার পানির বিল মওকুফ করেছেন। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিলের সাথে পানির বিলের সমন্বয় না থাকার কারণে পানি শাখার এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, মেয়রের এমন নিয়ম বহির্ভূত কাজ ও পৌর সভার টাকা আত্মসাথের কারণে আমরা সকল কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে। আন্দোলনরত আমরা সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছি। আশা করি দ্রুত সময়ের ভেতরে তাদের সমস্যা সমাধান হবে।

এবিষয়ে জানতে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।