সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাওয়ারলুম ফ্যাক্টরি পুড়ে ছাই

মাত্র একদিন আগেও ৩০টি পাওলুমের খটখট আওয়াজের কোরাসে সরব হয়ে ছিলো মহল্লা। মাত্র একদিন আগেই ৩০টি মেশিনে স্বপ্ন বোনা হতো একযোগে। এমন সরব আর স্বপ্নের কারখানা এখন পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপ। দেখলে মনে হবে কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশের চিত্র এটি।

এমন-ই ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী রহমত খোলা গ্রামে। হঠাৎ মধ্যরাতে দাউদাউ করে জ্বলা ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বাড়িঘর, দোকানসহ পাওয়ারলুমের একটি ফাক্টরি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। মধ্যরাতে আগুন লেগে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। প্রথমে পাওয়ারলুম ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার পর আগুন আশেপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি দোকানে আগুন লেগে যায়। এতে দোকানের মাল, বাড়িঘরের আসবাবপত্রসহ ৩০ টি পাওয়ালুম আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়।

এসময় এলাকাবাসী ও বেলকুচি ফায়ার সার্ভিস এসে প্রায় দুইঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনলেও ততক্ষণে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পাওয়ারলুম ফ্যাক্টরির মালিক শামিম বলেন, আমার ফ্যাক্টরিতে ৩০ টি পাওয়ারলুম ছিল। চোখের সামনে দাউদাউ করে পুড়ে যেতে দেখলাম নিরুপায় হয়ে। শত চেষ্টা করেও একটিও রক্ষা করতে পারিনি। আমি একেবারে নিঃশ্ব হয়ে গেলাম, আমার সব কিছু শেষ।

মুদি দোকানি আমিরুল বলেন, আমার দোকানে কয়েক লক্ষাদিক টাকার মাল আগুনে পুরে ছাই হয়ে গেছে, আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার আর দাঁড়াবার মত কোন পুঁজি নেই।

ক্ষতিগ্রস্থ আরেকজন মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত ছিলো ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের মত। হঠাৎই টের পেলাম আমার চারপাশ দাউদাউ করে জ্বলছে। প্রাণপন চেষ্টা করে কোনক্রমে জীবন বাচিয়ে ঘর হতে বের হতে পেরেছি। আমার দ্বি-তল বিশিষ্ট ঘর আগুনে পুরে শেষ হয়ে গেছে। কেবল জীবনটাকেই রক্ষা করতে পেরেছি। ঘর থেকে কোন কিছুই বের করতে পারিনি।

এদিকে পাওয়ারলুম ফ্যাক্টরি থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারেনি কেউ।