সিলেটে জুড়ে বাড়ছে প্রবাসী রেমিট্যান্স !! আগ্রহ হারাচ্ছেন প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা

চলতি মাসে ১৩ দিনে প্রবাসী আয় দাড়িয়েছে দেশে ৮১৬২ কোটি টাকা। এতে প্রবাসীরা মোট ৭৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বাংলাদেশে। ওই রেমিট্যান্স যোদ্ধার মধ্যে বড় একটি অবদান রাখছেন সিলেটের প্রবাসীরা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটকিয়ে থাকা প্রবাসীরা নিজের প্রয়োজন ও পরিবারে প্রয়োজনে বেশি বেশি করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। তবে ইদানিং সিলেটে জেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন বেশি টাকা পাঠিয়েছেন পরিবারের চিকিৎসা খাতে। দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে রয়েছে পরিবারের অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে।

অনেকে আবার পাঠিয়েছেন জায়গা জমি কিনতে। তবে বড় বড় যতো প্রবাসী ব্যবসায়ী বিনিয়োগাকারী রয়েছেন তারা দেশে বিনিয়োগ করতে অনিহা প্রকাশ করছেন। তার একটি কারণ হিসেবে তুলে ধরণে ৭ প্রবাসীকে হোমল্যান্ড কোম্পানীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেল হাজতে পাঠানোর জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসীর আত্মীয় জানান, নিজের টাকা বিনিয়োগ করে ঝামেলা করার চেয়ে প্রবাসী কিছু করার ভালো। বাংলাদেশে যে খাতে আমরা বিনিয়োগ করতে গেছি মানুষের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছি, হামলা,মামলার শিকার হয়েছি,যার কারণে আমাদের প্রবাসীদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি বিনিয়োগ করতে।

এখন সিলেটে যত রেমিট্যান্স আসছে বেশির ভাগ পারিবারিক ও চিকিৎসা খাতে খরচের টাকা আসছে। তার পাশাপাশি রেমিট্যান্স বাড়ছে উচ্চ শিক্ষার টিউশন ফির জন্য। অনেকে টিউশন ফি দিতে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আনিয়ে ব্যাংকগুলোতে রাখছেন।

তবে এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৫ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৯ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংক গুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে এক কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার।

আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন, ১৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এরপর সোনালী ব্যাংকে ৪ কোটি ৪২ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে পাঁচ কোটি ৫৩ লাখ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে চার কোটি ৭৭ লাখ এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে চার কোটি ১৯ লাখ প্রবাসী আয় এসেছে।

একই সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কর্মাসিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।