সিলেট বেতার কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক প্রদীপ চন্দ্র দাস এখনও বহাল তবিয়তে

সিলেট বেতার কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে হলে নাম্বার ধারী নিজে থেকে ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ গ্রেড বসানো সাংবাদিকদের উপর সেই ক্ষমতাশীল সহকারী পরিচালক প্রদীপ চন্দ্র দাস এখনও সিলেট বেতার কেন্দ্রে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

সিলেটের বেতার কেন্দ্রে এ গ্রেড সাংবাদিক ছাড়া কারও ঢুকার অনুমতি নেই বলে সেই ঘোষণাকারি প্রদীপ চন্দ্রের ক্ষমতার দাপট ও দুব্যবহারে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন সিলেটের সুশীল সমাজকে। সম্প্রতি সিলেটের তরুন সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কবি নূরুদ্দীন রাসেলের সাথে দুব্যবহার এবং বেতার কেন্দ্রে ‘এ’ গ্রেড সাংবাদিকের নাম্বার বসানো নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি করে, যাহা সিলেট জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ঝড় সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারী যোগদান করেন প্রদীপ চন্দ্র দাশ। বর্তমানে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লাগাতার ১০ বছর দেড় মাস ধরে সিলেট বেতার কেন্দ্রে চাকুরী করছেন তিনি। তার অন্যত্র বদলী বা পরিবর্তন না হওয়ায় একই স্থানে দাপটের সঙ্গে কর্মরত আছেন। এরই মধ্যে এডি প্রদীপকে ৩ বার বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। অদৃশ্য শক্তির বলে তার বদলী স্থগিত রেখে চাকুরী করে যাচ্ছেন।

এডি প্রদীপের অন্যত্র বদলী সরকারি ভাবে যথা নিয়মে না হওয়ায় গুঞ্জন চলছে। সিলেট বেতার কেন্দ্রে তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দাপটে সচেতন সমাজ সহ সেবা গ্রহিতারা মেনে নিতে পারছেন না। সরকারি অফিসিয়াল কাজে নিরীহদের সেবার পরিবর্তে কথায়- কথায় রাগ, উগ্র মেজাজে অতিষ্ঠ কলা-কুশলীবৃন্দ। সে জন্য তার বিরুদ্ধে তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের কাছে ভোক্তভুগিরা জোর দাবী জানিয়েছেন।