সিলেট হঠাৎ বেড়েছে পর্যটকদের চাপ

সিলেট শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ফিরে পাচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দরর্য। সিলেটের পর্যটন স্পট জল, পাথর, পাহাড় আর চা-বাগান ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিদিন পর্যটকেরা। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবসের ছুটি থাকায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। এই ফাঁকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন ঘুরে বেড়ানোর জন্য ভিড় জমিয়েছেন সিলেটে। রমজান শুরু আগেই হঠাৎ বড়েছে পর্যটকদের আগমন।

এদিকে পর্যটকদের চাপে সিলেটের বেশির ভাগ হোটেল মোটেলের আসন পরিপূর্ণ ছিলো। এছাড়া নগরীর অভ্যন্তরে রেস্তোরাঁগুলোতেও ছিলো পর্যটকদের বাড়তি চাপ। অন্যদিকে ভিড় ছিলো শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এবং শাহপরান (রহ.)-এর মাজারেও।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ মাসের শুরু থেকেই ভালো পর্যটক সমাগম ঘটেছে। ইতোমধ্যে পর্যটকদের সেবা, থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পর্যটক সমাগম বাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, আইসিটি পার্ক, বিছনাকান্দি, জাফলং, রাতারগুল, লালাখাল ও শহরতলির মালনীছড়া, লাক্কাতুরা চা-বাগান, টিলাগড় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় ছিলো লক্ষ্য করার মতো।

হোটেল মালিকরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ পর্যটকদের চাপ বাড়তে থাকে। এতে সিলেট নগরীর অভ্যন্তরের বেশ কয়েকটি হোটেল এবং শহরতলির কয়েকটি কটেজে কক্ষ খালি পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অধিকাংশ হোটেলের কক্ষ অগ্রিম বরাদ্দ করে রাখা হয়েছিলো। এ জন্য অনেকে হোটেলে গিয়েও কক্ষ পাননি। তবে পর্যটকেরা নিরাশ হয়েছেন এমন ঘটনা ঘটেনি। এক হোটেলে না পেলেও অন্য হোটেলে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাতে পর্যটকদের কোনো ধরনের হয়রানি করা না হয়, সে জন্য প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের প্রতি বিষয়টি নজর রাখার জন্য বলা রয়েছে।
পর্যটনকেন্দ্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. রতন শেখ বলেন, শুক্র ও শনিবার, মঙ্গলবার পর্যন্ত জাফলংয়ে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সহযোগিতায় কাজ করেছে।
জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাতে বাংলাদেশের পর্যটকেরা প্রবেশ না করেন এবং ভারতের পর্যটকেরা যাতে সীমানা অতিক্রম না করেন, সে জন্য হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে পর্যটকদের সচেতন করা হয়।