সৌদিতে বার্সার জার্সি পরলেই জেল-জরিমানা

বার্সেলোনার জার্সি গায়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করলে জেলে যেতে হবে; গুনতে হবে মোটা অংকের জরিমানা। কাতার এয়ারওয়েজের স্পন্সর লোগো থাকায় স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার জার্সির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি। সম্প্রতি সৌদি আররে নেতৃত্বে অাট দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসলো। খবর ডেইলি মেইলের।

কাতার এয়ারওয়েজের লোগো সম্বলিত বার্সেলোনার জার্সি পরে সৌদিতে প্রবেশ করলে ১৫ বছরের কারাদণ্ডসহ জরিমানা হবে এক লাখ ২০ হাজার ডলার। অথচ বিশ্বে কাতার এয়ারওয়েজের লোগোসহ বার্সেলোনা তারকা মেসির জার্সি বিক্রি হয়েছে সবথেকে বেশি।

এ সিদ্ধান্তের ফলে সবথেকে সমস্যায় পড়বেন মেসি ও নেইমার ভক্তরা। হয় তাদের সমর্থকদের দলের জার্সি ছাড়া অন্য পোশাকে আসতে হবে নতুবা গুনতে হবে জরিমানা।

এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময় আসল, যখন কাতার চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। পরে সম্পর্ক ছিন্নের এই তালিকায় যোগ দেয়, লিবিয়া, ইয়েমেন, জর্ডান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ করেছে। তবে কাতার সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর কাতারের জন্য আকাশ, স্থল ও সমুদ্র সীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো। একই সঙ্গে কাতার থেকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন তাদের নাগরিকদের ১৪ দিনের মধ্যে নিজ দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া এসব দেশ থেকে একই সময়ের মধ্যে কাতারি নাগরিকদেরও ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২০১১ সালে ইউনিসেফের পরিবর্তে নিজেদের লোগো স্পন্সর করে কাতার ফাউন্ডেশন। কাতার এয়ারওয়েজের স্পন্সর নিয়ে বার্সাও এখন বিড়ম্বনায় পড়েছে। কেবল বার্সাই যে সংকটে পড়ে তা নয়; এর আগে এমিরেটসের স্পন্সর নিয়ে বেকায়দায় পড়েছিল প্যারিসের সেন্ট জামেইন ক্লাব।